Al-Khwarizmi: বীজগণিতের স্রষ্টা তিনি, চাঁদের গহ্বর থেকে গ্রহাণুর নামকরণও হয়েছে, আল-খোয়ারিজমিকে চেনেন?
গণিতের প্রায় সমস্ত শাখার সেতুবন্ধন ঘটে বীজগণিতের মাধ্যমে। গণিতশিক্ষার প্রাথমিক ধাপ হিসেবে গন্য হয় বীজগণিত। এই বীজগণিতের সূচনা ঘটে মুসলিম গণিতজ্ঞ আল-ওয়ারিজমির হাত ধরে। -ফাইল চিত্র।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপুরো নাম মহম্মদ ইবন মুসা আল-খোয়ারিজমি।জন্ম ইরানের খোয়ারজমে। হিন্দু-আরবি সংখ্যার প্রবর্তক তিনি। ইউরোপীয় গণিতে বীজগণিতের অন্তর্ভুক্তিও ঘটে তাঁর হাত ধরেই। -ফাইল চিত্র।
বাগদাদ নিবাসী ছিলেন আল-খোয়ারিজমি। আল-মামুনের ‘হাউজ অফ উইসডম’ দরবারের রত্ন ছিলেন তিনি। গ্রিক বিজ্ঞান এবং দর্শনের বিষয়বস্তু অনুবাদ করাই মূল কাজ ছিল তাঁর পাশাপাশি নিজস্ব গবেষণাও চালাতেন। -ফাইল চিত্র।
আল-খোয়ারিজমির লেখা ‘আল-কিতাব আল-মুখতাসর ফি হিসাব আল-জবর ওয়া’ল-মুকাববলা’-কেই বীজগণিতের প্রাথমিক শিক্ষার বই হিসেবে ধরা হয়। ১২ শতকে ওই বই লাতিন ভাষায় অনুবাদ করা হয়। এবং বইয়ের নামানুসারেই বীজগণিতের ইংরেজি নামকরণ হয় অ্যালজেব্রা। -ফাইল চিত্র।
গাণিতিক চিন্তাভাবনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিল আল-খোয়ারিজমির রৈখিক এবং চতুর্মুখী সমীকরণ পদ্ধতি। মধ্যযুগে পৃথিবীর তাবড় পণ্ডিতদের গবেষণার কাজ সহজতর হয়েছিল। ইসলামি শিক্ষায় দশমিকের সঙ্গে পরিচয় ঘটে তাঁর হাত ধরেই। এমনকি গাণিতিক পরিভাষা অ্যালগরিদমের স্রষ্টাও তিনি, যার উপর নির্ভর করে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের আগমন। -ফাইল চিত্র।
পাটিগণিতেও পারদর্শী ছিলেন আল-খোয়ারিজমি। শূন্য (০) এবং অন্য সংখ্যার ব্যবহার শুরু হয় তাঁর হাত ধরেই। পরবর্তীতে শূন্যের ব্যবহার শেখে ইউরোপ। -ফাইল চিত্র।
ত্রিকোণমিতি নিয়ে আল-খোয়ারিজমি ‘জিজ আল-সিন্দহিন্দ’ রচনা করেন। এই বইয়ে সাইন এবং কোসাইনের অনুপাত নির্ণয় করে সেগুলিকে সারণীতে যুক্ত করেন তিনি। বর্তুল ত্রিকোণমিতি নিয়েও বই লেখেন। -ফাইল চিত্র।
টলেমির ‘Geography’ বইটির সংশোঘনও করেন আল-খোয়ারিজমি। এশিয়া, আফ্রিকার বিভিন্ন শহর এবং ভৌগলিক এলাকার অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশে বইটিতে যুক্ত করেন তিনি। -ফাইল চিত্র।
আল-মামুনের হয়ে পৃথিবীর মানচিত্র তৈরির কাজেও সহযোগিতা করেন আল-খোয়ারিজমি। বর্ষপঞ্জি, সূর্যঘড়ি নিয়েও কাজ করেন তিনি। তাঁর লেখা বই ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়ানো হতো একসময়। -ফাইল চিত্র।
আল-খোয়ারিজমির স্মরণে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর একটি গহ্বরের নামকরণ হয়েছে। ১৩৪৯৮ আল-খোয়ারিজমি এবং ১১১৫৬ আল-খোয়ারিজমি নামক দু’টি গ্রহাণুর নামকরণও তাঁরই নামে। একটির নামকরণ হয় ১৯৮৬ সালে, অন্যটির ১৯৯৭ সালে। -ফাইল চিত্র।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -