NASA: গতিবেগ ঘণ্টায় ২০৮৪৪ কিলোমিটার! লম্বায় ২০০ ফুট! কেন কড়া নজর?
বহির্বিশ্বের থেকে কতরকম বিপদ ধেয়ে আসে পৃথিবীর দিকে। সেইগুলি নিয়েই নিত্যদিন গবেষণা করে যায় বিশ্বের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলি। সেই বিপদগুলির মধ্য়ে একটি গ্রহাণুর হামলা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসেই রকমই একটি গ্রহাণুর দিকে সতর্ক নজর রেখেছে National Aeronautics and Space Administration বা সংক্ষেপে NASA
NASA জানিয়েছে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে অ্যাস্টেরয়েড LN1, প্রায় ২০০ ফুট লম্বা এই গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে চোখ কপালের তোলার মতো গতিতে। ঘণ্টায় ২০৮৪৪ কিলোমিটার।
কদিন আগেই অন্য একটি গ্রহাণুর উপর নজর ছিল নাসার। ৮০০ ফুটের ওই গ্রহাণু পৃথিবীর থেকে দূরত্ব বজায় রেখেই বেরিয়ে গিয়েছে। এবার নজর অন্য একটিতে।
2023 LN1 নামে ওই গ্রহাণুটি পৃথিবীর একেবারে কাছাকাছি এসে পড়তে পারে বলে সন্দেহ করছে নাসা। NASA-এর Jet Propulsion Laboratory এর দিকে সতর্ক নজর রেখেছে।
যদিও এখনই বিশাল কোনও উদ্বেগ নেই। NASA বলছে এখনও যা গতিবিধি তাতে খুব বেশি হলে পৃথিবীর থেকে ৪.২৬ মিলিয়ন মাইলের মধ্যে চলে আসবে। মহাজাগতিক ঘটনার দিক থেকে এই দূরত্ব খুব বেশি নয়।
যদিও নাসার তরফে জানানো হয়েছে এই গ্রহাণুর গতিপথে যে কোনও সময় বদল আসতে পারে, অন্য কোনও মহাজাগতিক বস্তুর মাধ্যাকর্ষের প্রভাবে গতিপথে বদল আসে। তাই এগুলির দিকে সবসময় নজর রাখতে হয়।
পৃথিবীর কাছাকাছি আসা এই ধরনের মহাজাগতিক বস্তুগুলিকে near-Earth objects (NEO) বলা হয়। এগুলির গতিবিধির দিকে নজর রাখার জন্য প্রতিমুহূর্তে কাজ চলে। একাধিক টেলিস্কোপ, কৃত্রিম উপগ্রহ এই কাজ করে।
সৌরমণ্ডলের মধ্য়ে এই ধরনের মহাজাগতিক বস্তু থাকলে তা খোঁজ করা একরকম। কিন্তু সৌরজগতের বাইরে থেকেও হাজির হতে পারে। সেগুলি ট্র্যাক করা ভীষণই কঠিন কাজ।
বহুযুগ আগে পৃথিবীতে এমনই একটি গ্রহাণু আছড়ে পড়েছিল। বলা হয়ে থাকে ডায়নোসরের বিলুপ্ত হওয়ার পিছনে সেটিও একটি অন্যতম কারণ। তাই গ্রহাণু বা ধূমকেতুর হামলায় যাতে বিশ্বের ক্ষতি না হয় তাই সেগুলির দিকে নজর রাখতে আর বিপদ এড়াতে নিরন্তর চলছে গবেষণা।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -