Science News: ব্রহ্মাণ্ডের বাইরে নয়া সৌরমণ্ডল, অসম্ভব নয় প্রাণধারণ! আবিষ্কার ঘিরে শোরগোল
মহাশূন্যের আনাচে কানাচে অজস্র গ্রহ-নক্ষত্র ছড়িয়ে রয়েছে। তার মধ্যে কোনও একটিতে প্রাণধারণের উপযোগী পরিবেশ থাকলেও থাকতে পারে বলে যুগ যুগ ধরেই দাবি করে আসছেন বিজ্ঞানীরা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসেই সম্ভাবনা আরও উস্কে দিল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA-র একটি কৃত্রিম উপগ্রহ। আমাদের সৌরজগতের বাইরে নয়া দুনিয়া আবিষ্কার করল সে।
আমাদের সৌরজগতের বাইরে যে গ্রহগুলি রয়েছে, তাদের বলা হয় এক্সোপ্ল্যানেট। NASA-র কৃত্রিম উপগ্রহ ট্রানজিট এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট (TESS) তেমনই কিছু এক্সোপ্ল্যানেটের সন্ধান পেয়েছে।
এর মধ্যে TOI-4600c-কে নিয়ে কৌতূহল মাথাচাড়া দিচ্ছে। কারণ আকারে এটি শনির প্রায় সমান। পৃথিবী থেকে ৮১৫ আলোকবর্ষ দূরের একটি নক্ষত্রমণ্ডলে এর অবস্থান। পৃথিবীর হিসেবে ৪৮২.৮২ দিনে, অর্থা ১৬ মাসে সেটি একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে।
এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০০০ নতুন দুনিয়ার সন্ধান পেয়েছে TESS. এর মধ্যে TOI-4600c বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য, কারণ এই গ্রহের বুকে এক বছর তত বেশি দীর্ঘ নয় এবং তাপমাত্রা অত্যধিক হওয়ার পরিবর্তে, -৭৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো।
এখনও পর্যন্ত যত গ্রহের সন্ধান পেয়েছে TESS, তার মধ্যে TOI-4600c-ই সবচেয়ে শীতল। তাই এর উৎপত্তি এবং স্থানাতরণ নিয়ে বিশদ তথ্য জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
এর আগে, TOI-4600 নামের যে নক্ষত্রমণ্ডলের সন্ধান পায় TESS, তাতে TOI-4600b নামের একটি গ্রহের সন্ধান মেলে। সেটিকে উষ্ণতর বৃহস্পতি বলে উল্লেখ করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। আয়তনে সেটি নেপচুনর থেকে বড়, কিন্তু শনির চেয়ে ছোট। নক্ষত্রকে ৮২.৬৯ দিনে প্রদক্ষণ করে। তবে তাপমাত্রা প্রায় ৭৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সাধারণত ৪০ দিনের বেশি সময় নিয়ে নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে যে যে সমস্ত এক্সোপ্ল্যানেট, কৃত্রিম উপগ্রহের নজরদারিতে ধরা পড়ে না তারা। সেই কারণেও TOI-4600c গ্রহটিকে নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে।
TOI-4600c গ্রহটি TOI-4600 সৌরমণ্ডলের অন্তর্গত বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। কমলা রংয়ের, বামনাকার একটি নক্ষত্রকে সেটি প্রদক্ষিণ করে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। ওই নক্ষত্র সূর্যের চেয়ে শীতল এবং স্থিতিশীল।
ওই ধরনের নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরে চলা গ্রহগুলি প্রাণধারণের উপযুক্ত হতে পারে বলে মত বিজ্ঞানীদের একাংশের। গত ৩১ অগাস্ট অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে নয়া গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। নয়া আবিষ্কার খতিয়ে দেখছেন বিজ্ঞানীরা।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -