Space Science: প্রতিনিয়ত নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে ভিন্গ্রহী প্রাণ, যত নষ্টের গোড়া উপগ্রহ!
বিজ্ঞানমনস্ক লোকজন গোড়া থেকেই কৌতূহলী। তাই সৌরজগতে ভিন্গ্রহীদের সন্ধান আজও চলছে। কিন্তু তা করতে গিয়ে খালি হাতেও ফিরতে হতে পারে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপৃথিবীর বাইরে সৌরজগতের অন্যত্র প্রাণের অস্তিত্ব থাকা অসম্ভব বলে নয়, বরং মহাজাগতিক কর্মকাণ্ডে সব ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ফলেই খালিহাতে ফিরতে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কারণ সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। মান্থলি নোটিসেস অফ দ্য রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যল সোসাইটি জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণায় উঠে এসেছে এই দাবি।
গবেষকদের দাবি, সৌরজগতের বাইরে যে সমস্ত গ্রহ রয়েছে, নিজ নিজ উপগ্রহের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ ঘটে থাকতে পারে। অর্থাৎ সৌরজগতের বাইরে থাকা উপগ্রহ কোনও সৌরজগতের বাইরে থাকা গ্রহের উপর আছড়ে পড়ে থাকতে পারে অহরহ। সে ক্ষেত্রে প্রাণের অস্তিত্ব থাকলেও, সবকিছু নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
হাতেনাতে সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত উপগ্রহের ছবি যদিও এখনও তুলে ধরতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে সৌরজগতের গঠনের সঙ্গে সৌরজগতের বাইরের গঠনের সাদৃশ্য থাকাই স্বাভাবিক।
একই ভাবে প্রতিবছর পৃথিবীর আহ্নিক গতিও একটু করে শ্লথ হয়ে পড়ছে। এই দুই ঘটনা পরস্পরের সংযুক্ত। এর ফলে চাঁদের কক্ষপথকে কিছুটা কৌণিক ভরবেগ জোগায় পৃথিবী। এমন চলতে থাকলে একসময় পৃথিবীর বন্ধন থেকে আলগা হয়ে যাবে চাঁদ।
পৃথিবীর ক্ষেত্রে যদিও অদূর ভবিষ্যতে এমনটা হওয়ার সম্ভবনা নেই। কারণ তার আগে হয়ত সূর্যই শেষ হয়ে যাবে। ফলে চাঁদের পালিয়ে যাওয়ার কোনও রাস্তা নেই আপাতত। কিন্তু সৌরজগতের বাইরে, বিশেষ করে যেখানে গ্রহের অবস্থান নক্ষত্রের কাছাকাছি, সেখানে দ্রুতই এই ঘটনা ঘটে।
তাতে সংশ্লিষ্ট গ্রহ এবং তার বেপরোয়া হয়ে ওঠা উপগ্রহের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। আর তা ঘটে জন্মের কয়েকশো কোটি বছরের মধ্যেই। পৃথিবী এবং চাঁদের ব।স ৪৫০ কোটি বছর বলে ধরা হয়। সেই নিরিখে হিসেব কষা সহজ।
তাই বিজ্ঞানীদের ধারণা, সৌরজগতের বাইরে যে সমস্ত উপগ্রহ নিজের গ্রহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, ঘুরতে ঘুরতে সেই গ্রহের বুকেই আছড়ে পড়ে তারা। তাতে মুহূর্তে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়। তার ফলে তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে। তার পর ১০ হাজার বছরের মধ্যে বিলীন হয়ে যায়। মহাজাগতিক হিসেবে এই ১০ হাজার বছর চোখের পলক ফেলারই সমান।
ইতিমধ্যেই আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নজরদারি টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া তথ্য জানিয়েছে যে, প্রত্যেক নক্ষত্রের জীবনকালেই এমন ঘটনা ঘটে। মহাশূন্যে যে ধুলোর মেঘ দেখা যায়, তা এমনই সংঘর্ষের ফলে সৃষ্টি হয়। এখনও পর্যন্ত এমন একডজন ধুলোর মেঘ চোখে পড়েছে। তবে সেগুলি সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত গ্রহ এবং উপগ্রহের ফলে সৃষ্ট না দুই গ্রহের সংঘর্ষের ফলে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
image 6
image 9
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -