Saturn Rings: একটি বা দু’টি নয়, শনিকে ঘিরে সাত-সাতটি বলয়, কোথা থেকে এল, এতদিনে মিলল জবাব
একটি বা দু’টি নয়, শনিকে ঘিরে রয়েছে সাত-সাতটি বলয়। পরস্পরের গায়ে লেপ্টে নেই তারা, বরং মাঝে রয়েছে দূরত্বও। ওই সাত বলয়কে ঘিরে কৌতূহলের শেষ নেই। কোথা থেকে সেগুলির সৃষ্টি, তা নিয়ে গবেষণা চলছে বহু বছর ধরেই। এবার তার সম্ভাব্য উত্তর খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসৌরজগতের সবচেয়ে আকর্ষণীয় গ্রহ হিসেবে ধরা হয় শনিকে। আবার শনিকে ঘিরেই সবচেয়ে ধন্দ রয়েছে। সাত-সাতটি বলয়, ২৪৫টি উপগ্রহ, হাজারো প্রশ্ন রয়েছে শনিকে ঘিরে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে তার মধ্যে কিছু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গিয়েছে।
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা শনির উদ্দেশে NASA- ক্যাসিনি অভিযান চালায়। ২০০৪ থেকে ২০১৭, ১৩ বছর শনির উপর নজরদারি চালায় তাদের মহাকাশযান ক্যাসিনি। তার মাধ্যমেই শনিকে ঘিরে থাকা সাতটি বলয়ের রহস্যভেদ করার চেষ্টা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
১৬১০ সালে গ্যালিলিও গ্যাললিলেই প্রথম শনির চারিদিকে বলয় দেখতে পান। বরফ এবং ধুলোয় ঢাকা ওই বলয়গুলি। তবে বরাবর শনিকে ঘিরে ওই বলয়গুলি ছিল না। তুলনামূলক ভাবে তাদের বয়স কম বলে উঠে এসেছে গবেষণায়।
বিজ্ঞানীদের মতে, বরফে ঢাকা দুই উপগ্রহের মধ্যে সংঘর্ষের ফলেই শনিকে ঘিরে ওই বলয়গুলি গড়ে উঠেছে। ডারহাম ইউনিভার্সিটির কম্পিউটেশনাল কসমোলজি বিভাগের অধ্যাপক ভিনসেন্ট একে জানিয়েছেন, দুই বরফে ঢাকা উপগ্রহের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে ধুলো, গ্যাস, বরফ ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। তা থেকেই ওই বলয়গুলির উৎপত্তি।
মূলত বরফ এবং ধুলো দিয়ে তৈরি হলেও, শনির বলয়গুলির কেন্দ্রস্থলে পাথর রয়েছে বলে মত বিজ্ঞানীদের। তাঁদের মতে, সংঘর্ষের পর শনির চারিদিকে ছডি়য়ে ছিটিয়ে যায় পাথরের টুকরো। অভিকর্ষ শক্তির প্রভাবে বৃত্তাকারে সমবেত হয় সেগুলি। তার পর কক্ষপথ বরাবর বরফ জমা হয়।
কোনও মহাজাগতিক বস্তুকে ঘিরে বলয় তখনই তৈরি হয়, যখন ওই মহাজাগতিক বস্তুর তুলনায়, তার চারিদিকে ছড়িয়ে থাকা উপাদানের অভিকর্ষ শক্তি কম হয়। ফলে মহাজাগতিক বস্তুর অভিকর্ষ শক্তিই সেগুলিকে নির্দিষ্ট দূরত্বে ধরে রাখে।
এখনও পর্যন্ত গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে, সেই অনুযায়ী, দু’টি বস্তুর মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে সাধারণত পাথরের টুকরো বেশি দূরে যেতে পারে না। অভিকর্ষ শক্তির প্রভাবে গ্রহের চারিদিকে সমবেত হয়। সেই তুলনায় বরফ বেশি দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে।
শনির বরফে ঢাকা উপগ্রহগুলিকে নিয়েও কৌতূহলের শেষ নেই। এর মধ্যে কয়েক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের উপগ্রহও রয়েছে। এর মধ্যে কিছু গ্রহে প্রাণধারণের উপযুক্ত পরিবেশ থাকলেও থাকতে পারে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
তবে শনির ব্যাপারে এখনও অনেক রহস্যভেদ বাকি। শনির অতীত সম্পর্কেও তেমন বিশদ তথ্য হাতে নেই বিজ্ঞানীদের। তাই ২৭ সেপ্টেম্বর অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত শনির বলয় নিয়ে নয়া এই রিপোর্ট গবেষণার কাজে সহায়ক হয়ে উঠতে পারে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -