Earth Science: একটু একটু করে সরছে মাটি, বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে আটলান্টিক মহাসাগর, বলছে গবেষণা
সৃষ্টিপর্ব থেকে এখনও পর্যন্ত নমান ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে পৃথিবী। সাগর বুজে গিয়ে কোথাও পর্বতের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও আবার জলের তলায় চলে গিয়েছে আস্ত ভূখণ্ড। ছবি: পিক্সাবে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appআবারও অশনি সঙ্কেত দিলেন বিজ্ঞানীরা। আটলান্টিক মহাসাগর এবং ভূমধ্যসাগরকে সংযুক্ত করেছে যে জিব্রাল্টার প্রণালী, তা আগামী দিনে পৃথিবীর মানচিত্র বদলে দিতে চলেছে বলে দাবি তাঁদের। ছবি: পিক্সাবে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ক্রমশ পশ্চিম দিকে সরে যাচ্ছে জিব্রাল্টার প্রণালীর নীচে থাকা অবনমিত মবহাদেশীয় পাত। আগামী দিনে আটলান্টিক মহাসাগরকে গিলে নিতে পারে সে। ছবি: ফ্রিপিক।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জিব্রাল্টার প্রণালীর নীচের যে অবনমিত পাত রয়েছে, বর্তমানে সেটি পর্তুগাল এবং মরক্কোর মাঝে করিডর হিসেবে অবস্থান করছে। ৩ কোটি বছর আগে একটু একটু করে পশ্চিম দিকে সেটি পশ্চিম দিকে এগোতে শুরু করলে, তা থেকেই ভূমধ্যসাগরের সৃষ্টি হয়। ছবি: ফ্রিপিক।
কিন্তু গত ৫০ লক্ষ বছর ধরে অবনমিত ওই পাতের গমন বন্ধ ছিল। সেই নিয়ে গবেষণা চালাতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, মাঝে কিছু সময় বিরতি নিয়েছিল মাত্র। এখনও সক্রিয়ই রয়েছে ওই পাত। ছবি: ফ্রিপিক।
Geology জার্নালে নতুন যে গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, আরও ২ কোটি বছর ঘুমন্ত অবস্থাতেই থাকতে পারে অবনমিত ওই পাত। তার পর আবারও পশ্চিমে সরতে শুরু করবে। ছবি: ফ্রিপিক।
এমনটা ঘটলে আগামী দিনে অবনমিত ওই পাতের নীচে চাপা পড়তে পারে আটলান্টিক মহাসাগর, যাকে ‘মহাদেশীয় পাতের আগ্রাসন’ বলে অভিহিত করছেন বিজ্ঞানীরা। ছবি: ফ্রিপিক।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আন্টার্কটিকার নীচে দু’টি পাত রয়েছে, যা Lesser Antilles Suduction Zone এবং Scotia Arc নামে পরিচিত। Scotia Arc আন্টার্কটিকার কাছাকাছি জায়গায় অবস্থিত। ছবি: ফ্রিপিক।
বিজ্ঞানীদের মতে, জিব্রাল্টার প্রণালীর নীচের পাত সত্যিই যদি আটলান্টিককে গিলে নেয়, সেক্ষেত্রে প্রশান্ত মহাসাগরকে ঘিরে অবনমিত পাতের বলয় গড়ে উঠবে। আটলান্টিকের নীচেও তেমন বলয়ে গড়ে উঠলে, দুই দিক থেকে ধীরে ধীরে আটলান্টিককে গ্রাস করবে ভূখণ্ড। ছবি: ফ্রিপিক।
এত বছর ধরে জিব্রাল্টরের নীচের ওই পাত ঘুমিয়ে থাকাতেই ওই অঞ্চলে ভূমিকম্প তুলনামূলক ভাবে কম। কিন্তু অবস্থানের পরিবর্তন ঘটলে ঘন ঘন, তীব্র ভূমিকম্প ঘটবে। শেষ বার ওই অঞ্চলে প্রচণ্ড তীব্রতার ভূমিকম্প হয়েছিল ১৭৫৫ সালে, যা গ্রেট লিসবন ভূমিকম্প নামে পরিচিত, রিখটার স্কেলে যার তীব্রতা ছিল ৮.৫ থেকে ৯.০। খুব শীঘ্র এত তীব্র ভূমিকম্পের সম্ভাবনা না থাকলেও, মানচিত্রের পরিবর্তন সময়ের অপেক্ষা বলে মত বিজ্ঞানীদের। ছবি: ফ্রিপিক।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -