Halley's Comet: জন্ম-মৃত্যু, দুই-ই জড়িয়ে, হ্যালির ধূমকেতুর সঙ্গে অদ্ভুত মহাজাগতিক সংযোগ এই সাহিত্যিকের
Mark Twain: নিজের শেষ নিজে বুঝতে পেরেছিলেন মার্ক টোয়েন? -ফাইল চিত্র।
-ফাইল চিত্র।
1/10
গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান বিচার করে জ্যোতিষীরা ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারেন বলে বিশ্বাস করেন অনেকেই। কিন্তু কিংবদন্তি সাহিত্যিক অনেক আগেই নিজের ভবিষ্যৎ বলে দিতে পেরেছিলেন। হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া তত্ত্ব নয়, একেবারে মহাজাগতিক ঘটনার সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন তিনি, যা অক্ষরে অক্ষরে ফলেও গিয়েছিল।
2/10
ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে চর্চা করেন যাঁরা, মার্ক টোয়েনের সম্পর্ক তাঁরা সকলেই অবহিত। আসল নাম স্যামুয়েল ল্যাংহর্ন ক্লেমেন্স হলেও, ছদ্মনাম মার্ক টোয়েন হিসেবেই পরিচিত এবং জনপ্রিয় তিনি। তাঁকে আমেরিকার সাহিত্যের জনকও বলা হয়। আর এই মার্ক টোয়েন এবং হ্যালির ধূমকেতুর মধ্যে অদ্ভুত মহাজাগতিক সংযোগ খুঁজে পাওয়া যায়।
3/10
১৮৩৫ সালের ৩০ নভেম্বর আমেরিকার ফ্লোরিডায় জন্ম মার্ক টোয়েনের। ওই বছরই পৃথিবীর আকাশে আবির্ভাব ঘটে হ্যালির ধূমকেতুর, যা প্রতি ৭৪ বছর অন্তর পৃথিবীবাসীর চোখে ধরা দেয়। মার্কের জন্মের ঠিক দুই সপ্তাহ আগেই পৃথিবী থেকে সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে ছিল হ্যালির ধূমকেতু।
4/10
আর যে সময়ে জন্ম হয় মার্ক টোয়েনের, সেই সময় সবচেয়ে ঊজ্জ্বল রূপে ধরা দেয়। বিশেষ করে ফ্লোরিডার আকাশে দিন হ্যালির ধূমকেতু অনেক বেশি ঊজ্জ্বল ছিল বলে জানা যায়।
5/10
আবার ১৯১০ সালের ২১ এপ্রিল ৭৪ বছর বয়সে মারা যান মার্ক টোয়েন। সেই সময় পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে ছিল হ্যালির ধূমকেতু। ওই সময় তার ঔজ্জ্বল্যও ছিল সবচেয়ে বেশি।
6/10
হ্যালির ধূমকেতুর সঙ্গে নিজের জীবনের সংযোগ খুঁজে পেয়েছিলেন মার্ক টোয়েন নিজেও। লিখেছিলেন, ‘১৮৩৫ সালে হ্য়ালির ধূমকেতুর সঙ্গে পৃথিবীতে এসেছিলাম আমি, সেটির সঙ্গেই পৃথিবী থেকে বিদায় নেব আশাকরি। যদি তা না ঘটে, তাহলে খুব হতাশ হব আমি। ঈশ্বরও বলছেন: দুই চালচুলোহীন একসঙ্গে এসেছিল, একসঙ্গেই বেরিয়ে যেতে হবে ওদের’।
7/10
হ্যালির ধূমকেতুর সঙ্গে পৃথিবীতে নিজের আগমনের নেপথ্যে মহাজাগতিক সংযোগই খুঁজে পেতেন মার্ক টোয়েন পরিবার-পরিজনদের কাছেও বার বার নিজের মনে কথা তুলে ধরেন তিনি। শেষ পর্যন্ত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সময় যে আসন্ন, তা বুঝতে পেরেছিলেন সময় থাকতেই।
8/10
মার্ক টোয়েন লিখিত ‘দ্য অ্যাডভেঞ্চার্স অফ টম সয়্যার’, ‘দ্য অ্যাডভেঞ্চার্স অফ হাকলবেরি ফিন’-কে আমেরিকার অন্যতম সেরা উপন্যাস হিসেবে ধরা হয়। ‘দ্য হাকলবেরি ফিন’ থেকেই আমেরিকার যাবতীয় আধুনিক সাহিত্যকর্মের সৃষ্টি বলে মনে করতেন আর্নেস্ট হেমিংওয়ে।
9/10
সেই মার্ক টোয়েনের সঙ্গে হ্যালির ধূমকেতুর এমন সংযোগ কৌতূহলের উদ্রেক ঘটায়। তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নানা ওঠাপড়ার মধ্য়ে দিয়ে গিয়েছে। মার্ক টোয়েনের বয়স যখন ১১ বাবা নিউমোনিয়ায় মারা যান। এর পর পরই স্কুলের পড়াশোনা ছাড়তে হয় তাঁকে।
10/10
একটি সংবাদপত্রে শিক্ষানবীশ হিসেবে কিছুদিন কাজ করলেও, পরবর্তীতে DTP নিয়ে কাজ করেন, রিভার পাইলট হিসেবে নেন প্রশিক্ষণও। ১৮৬৩ সালে সংবাদপত্রে রিপোর্টার হিসেবে প্রথম চাকরি পান মার্ক টোয়েন। নিয়মিত লেখালেখি শুরু সেই থেকেই। আমেরিকার শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম মার্ক টোয়েন।
Published at : 26 Aug 2025 10:24 AM (IST)