Children: ভাষা হোক বা জীবনের পাঠ, শিশুকালই শেখার উত্তম সময়
Fast Learners: ভাষা হোক বা জীবনের রোজনামচা, চটজলদি রপ্ত করে নেয় শিশুরা। কী করে সম্ভব হয়, জানাচ্ছে বিজ্ঞান।
ছবি: পিক্সাবে।
1/10
এই সেদিন হয়ত হাসপাতালে থেকে বাড়ি নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু দেখতে দেখতে কখন যেন বড় হয়ে যায় সেই শিশু। দিনভর এদিক ওদিক ছোটাছুটির পাশাপাশি, তাদের অনর্গল কথার সঙ্গে তাল মেলাতে রীতিমতো খাবি খেতে হয়। প্রতিদিনই নতুন কিছু শিখতে থাকে শিশুরা। চটজলদি সবকিছু বেশ রপ্তও করে নেয়।
2/10
বলা যায়, কিছু শিখতে বড়দের থেকে ঢের কম সময় নেয় শিশুরা। সে ভাষাই হোক বা আঁকাঝোকা অথবা জীবনযাত্রার রীতিনীতি। কিন্তু চটজলদি শিশুরা এসব শিখে নেয় কী ভাবে? নেহাত প্রয়োজনীয়তা নাকি তাদের মস্তিষ্ক বড়দের থেকে অনেক বেশি সচল?
3/10
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুরা আদতে স্পঞ্জের মতো হয়। প্রাপ্তবয়স্কের তুলনায় ঢের তাড়াতাড়ি নতুন সবকিছু শিখে নিতে পারে তারা। কিন্তু তাদের এই দক্ষতা নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে বলে মত গবেষকদের। তাঁদের দাবি, শিশুদের শেখার ক্ষমতা স্বাভাবিকই। অনেক সময় সমবয়সিদের তুলনায় তারা হয় ধীরগতি। কিন্তু বয়স কম হওয়াতেই সুবিধাজনক জায়গায় তারা।
4/10
আসলে নিউরোপ্লাস্টিসিটি-ই শিশুদের সুবিধাজনক জায়গায রেখেছে। কারণ এর ফলে ছোট্ট বয়সের অভিজ্ঞতার নিরিখেই গঠিত হয় শিশুর মস্তিষ্ক। আবার সময় মতো তাতে রদবদলও ঘটে। শিশুকে শিখতে সাহায্য করে এই নিউরোপ্লাস্টিসিটি। প্রয়োজনে আগের সব শিক্ষা ভুলে আবার নতুন সূচনাও ঘটে।
5/10
শিশুর বয়স পাঁচ বছর হওয়া পর্যন্ত এই ক্ষমতা থাকে তুঙ্গে। ওই সময়ে শিশুর প্রতিটি অভিজ্তাই একেবারে অভিনব হয়। ফলে প্রয়োজন মতো রদবদলও ঘটে। বাড়ির বড়দের সঙ্গে হওয়া অভিজ্ঞতা, পরিবেশ, চারপাশের সঙ্গেই শিশুর এই ক্ষমতা সম্পর্কযুক্ত। কারণ বড়দের দেখে, চারপাশ দেখেই জ্ঞান অর্জন করতে শুরু করে তারা।
6/10
বিশেষ করে ভাষা শেখার ক্ষেত্রে শিশুবয়স অনেক সুবিধাজনক। কারণ ছোট্ট বয়সে মাতৃভাষার ছন্দ, সুর, তাল মাথায় গেঁথে যায় শিশুদের। তাই চার বছর বয়সেই সাধারণত ঝরঝরে কথা বলতে পারে শিশুরা। এই বয়সে শিশুরা দু’তিনটি ভাষা শিখে নিতে পারে।
7/10
২০২২ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুযায়ী, মানবশিশু জন্ম থেকেই চারপাশ দেখতে শুরু করে। বড়দের গোচরে আসে না যা, ভাষাগত সেই তথ্যও তাদের কানে ঢুকতে থাকে। শব্দ এবং সুরের মধ্যেকার ফারাক বুঝতে শেখে।
8/10
বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছনোর আগে যদি এই ফারাক বুঝতে পারে কোনও শিশু, পরবর্তী কালে ভাষাগত সমস্যায পড়ে তারা।
9/10
শুধু তাই নয়, শিশু বয়সে একটা শক্তি কাজ করে শিশুদের মধ্যে। তার জেরে চোখে দেখা জিনিই মনে বসে যায় তাদের। ফলে মস্তিষ্কও সাড়া দিতে শুরু করে। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় জ্ঞান অর্জন করে। আবার চটজলতি প্রতিক্রিয়া জানাতেও শেখায়।
10/10
তবে শিশু চটজলদি সব শিখতে পারলেও, এ ক্ষেত্রে মা-বাবাকে বুঝেশুনে এগোতে হবে। শিশুর চারপাশটাকে সুন্দর রাখতে হবে তাঁদের। শিশুকে বই পড়ে শোনানো যেতে পারে। কার যত কম বয়স থেকে শেখা শুরু হয়, ততই ভাল। তাই পাঁচ বছর পর্যন্ত বয়স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় শিশুর মস্তিষ্ক সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকে। কারণ প্রতিনিয়তই সে নতুন কিছু আবিষ্কার করে।
Published at : 15 Mar 2023 03:03 PM (IST)