Ghost Planets: হঠাৎ গায়েব হয়ে গিয়েছে কেউ, ২৯০০ সালে প্রত্যাবর্তনের কথা কারও, মহাশূন্যে নাকি রয়েছে ভূতুড়ে গ্রহও?
সুবিশাল মহাশূন্যের সিকিভাগও এখন নখদর্পণে আসেনি আমাদের। প্রতিদিন নিত্যনতুন তত্ত্ব সামনে এলেও, অনেক রহস্যের কিনারা হয়নি এখনও পর্যন্ত।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিছু ভুতুড়ে গ্রহও মহাশূন্যের সেই রহস্যের মধ্যে রয়ে গিয়েছে। আদৌ সেগুলির অস্তিত্ব ছিল কিনা, থাকলেও কোথায় গেল, আজও জানা যায়নি।
Theia: চাঁদের উৎপত্তি কোথা থেকে, সেই নিয়ে একাধিক তত্ত্ব উঠে এলেও, নিশ্চিত ভাবে কোনও তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা পায়নি। কোটি কোটি বছর আগে সৌরজগতে Theia (থিয়া) নামের একটি গ্রহ ছিল বলে শোনা যায়। শোনা যায়, পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাধলে ধ্বংস হয়ে যায় Theia, তার সামান্য অংশ আজ চাঁদ রূপে বিরাজ করছে। কিন্তু সৌরজগতে Theia-র অস্তিত্বের প্রমাণ আজও মেলেনি।
Vulcan: ১৯ শতকে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, সূর্যের সবচেয়ে নিকট গ্রহ আসলে Vulcan (ভালকান)। বুধের ঠিক অনুসূর অবস্থানে Vulcan সূর্যকে প্রদক্ষিণ করত এবং পরে কোনও কারণে ছিটকে বেরিয়ে যায় বলে দাবি ওঠে। আজ পর্যন্ত সেটির হদিশ মেলেনি।
Super Earths: পৃথিবীর চেয়ে আকারে বড়, প্রাণধারণের উপযোগী একাধিক পাথুরে গ্রহ সৌরজগতে অবস্থান করছে বলে দাবি করেন অনেকেই। কিন্তু আজ পর্যন্ত হাতেকলমে তার প্রমাণ দিতে পারেননি কেউ।
Mars Impactor: চাঁদের মতোই মঙ্গল গ্রহের ভৌগলিক চরিত্র পরস্পর বিরোধী। মঙ্গল গ্রহের উত্তর গোলার্ধ মোটামুটি ভাবে সমতল, সেই নিরিখে দক্ষিণ গোলার্ধ অবনমিত এবং খানাখন্দে ভর্তি। মহাজাগতিক কোনও বস্তু আছড়ে পড়াতেই মঙ্গলের দক্ষিণ গোলার্ধের এমন অবস্থা বলে দাবি করেন বিজ্ঞানীদের কেউ কেউ। কিন্তু এর সপক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি।
Asteroid Belt Planet: ১৭৬৬ সালে প্রাশিয়ার জ্যোতির্বিজ্ঞানী জোহান টিটিয়াস সূর্য এবং গ্রহগুলির মধ্যেকার দূরত্বের বিশেষ গাণিতিক নিদর্শনের খোঁজ পান। ১৭৭২ সালে জার্মান বিজ্ঞানী জোহান বোডে সেটির বিশদ ব্যাখ্যা করেন। মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মাঝে আরও গ্রহ থাকার কথা বলে জানান তিনি। ১৮০১ সালে ইতালীয় পাদরি জিউসেপ্পে পিয়াৎজি Ceres নামের একটি বামনগ্রহের সন্ধান পান। পরবর্তীতে Pallas, Juno, Vesta নামের আরও কিছু গ্রহের সন্ধান মেলে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সেগুলিকে গ্রহাণু বলে চিহ্নিত করা হয়। সেগুলি কোনও গ্রহের ধ্বংসাবশেষ বলে দাবি করেন অনেকে। কিন্তু আজ পর্যন্ত মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মাঝে কোনও গ্রহ ছিল বলে প্রমাণ মেলেনি।
Nibiru: প্রাচীন সুমেরীয় লিপিতে Nibiru নামের একটি গ্রহের উল্লেখ মেলে। প্রতি ৩৬০০ বছরে সেটি সূর্যকে প্রদক্ষিণ বলে দাবি করা হয়। সেখান থেকে ভিনগ্রহীরা ৩০০০ বছর আগে পৃথিবীতে সোনার সন্ধানে আসে বলেও দাবি রয়েছে।১৯০০ সালে আবারও Nibiru সৌরজগতে প্রবেশ করবে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে। কিন্তু এর সপক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি।
Planet X: ১৮৪৬ সালে নেপচুন আবিষ্কারের পর আরও Planet X নামের গ্রহের সন্ধান চলছিল। ১৯৩০ সালে প্লুটোর সন্ধান মেলে। কিন্তু প্লুটো গ্রহ থেকে বামনগ্রহে পর্যবসিত হয়েছে। আজও Planet X-এর সন্ধান মেলেনি। তবে নেপচুন থেকে ২০০ অ্যাস্ট্রনমিক্যাল দূরত্বে আরও দু’টি গ্রহ থাকতে পারে বলে দাবি অনেকের।
Tyche: ১৯৯ সালে জ্যোতির্পদার্থবিদ জন মাটিজ, প্যাট্রিক হুইটম্যান এবং ড্যানিয়েল হুইটমায়ার Tyche ধূমকেতুর অস্তিত্বের কথা পাড়েন। জানান কোনও কারণে সূর্য থেকে ১০০০০ অ্যাস্ট্রনমিক্যাল ইউনিট দূরত্বে ছিটকে গিয়েছে Tyche. সেটি আয়তনে বৃহস্পতির চেয়ে চার গুণ বড় বলে দাবি করা হয়। ২০০৯-’১১ সালে ফের পৃথিবীর আকাশে সেটির আবির্ভাব ঘটতে পারে বলে দাবি করা হলেও, তা ঘটেনি।
Nemesis: ১৯৮৪ সালে ডেভিড রউপ এবং জে জন সেপকোস্কি একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন, তাতে বলা হয়, প্রতি ২ কোটি ৬০ লক্ষ বছরে প্রাণের অবলুপ্তি ঘটে। এর সপক্ষে প্রমাণ চাওয়া হলে, যুক্তি দেওয়া হয় যে, সূর্যের অনুরূপ একটি অনাবিষ্কৃত নক্ষত্র রয়েছে, যার নাম Nemesis রাখা হয়। সেটি Oort Cloud-এ বিপত্তি ঘটায় এবং তা থেকে মহাজাগতিক বস্তু পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে এবং প্রাণের বিলুপ্তি ঘটে। আজ পর্যন্ত Nemesis-এর খোঁজ মেলেনি।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -