Science News: পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই রকেট উৎক্ষেপণ, বায়ুমণ্ডলে তৈরি হল ছিদ্র!
Space Force: বায়ুমণ্ডলে হঠাৎই তৈরি হল ছিদ্র। দায়ী আমেরিকার রকেট! শোরগোল সর্বত্র।
Continues below advertisement

প্রতীকী চিত্র। ছবি: পিক্সাবে।
Continues below advertisement
1/12

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ছিদ্র তৈরি হয়েছে বলে এবার আশঙ্কা মাথাচাড়া দিল। প্রাকৃতিক ভাবে নয়, বরং মনুষ্যঘটিত কারণে এই ছিদ্র তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ।
Continues below advertisement
2/12
আমেরিকার নিরাপত্তাবাহিনীর ‘স্পেস ফোর্স’ গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভ্যান্ডেনবার্গ স্পেস ফোর্স বেস থেকে আলফা রকেটসমূহ উৎক্ষেপণ করে। মোটামুটি গোপনই রাখা হয়েছিল বিষয়টি।
3/12
এমনকি উৎক্ষেপণের ২৭ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত বিষয়টি কেউ টেরও পায়নি। আচমকা বিষয়টি জানতে পেরে তাই হতবাক হয়েছিলেন অনেকেই। তাতেই বায়ুমণ্ডলের উপরিস্থলে ছিদ্র তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে।
4/12
এই স্পেস ফোর্স আসলে আমেরিকার স্বাধীন মহাকাশ সামরিক বাহিনী। সবার আগে আমেরিকাই নিজের পৃথক মহাকাশ সামরিক বাহিনী গড়ে তোলে।‘ফায়ারফ্লাই এ্যারোস্পেস’ নামের একটি সংস্থাকে বরাত দিয়েছিল আমেরিকার ‘স্পেস ফোর্স’।
5/12
১৪ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় রাত ১০টা বেজে ২৮ মিনিটে ওই রকেট উৎক্ষেপন করা হয়। তাতে ‘স্পেস ফোর্সে’র Victus Nox স্যাটেলিইট রয়েছেস, লাতিন ভাষায় যার অর্থ ‘রাত্রি বিজয়’।
6/12
Victus Nox স্যাটেলাইট আসলে একটি নজরদারি স্যাটেলাইট। মহাকাশে এক্তিয়ার নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতেই এই অভিযান। পৃথিবীর কক্ষপথ এবং তার আশেপাশে কী ঘটছে, তার উপর নজরদারি চালাবে।
7/12
বিষয়টি মোটামুটি গোপনই রেখেছিল আমেরিকা। কিন্তু রকেট উৎক্ষেপণের পর প্রচুর ধোঁয়া এবং রাতের আকাশে উজ্জ্বল হয়ে উঠতে দেখেই টনক নড়ে সকলের।
8/12
প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার দূর থেকেও ওই রকেটটি দৃশ্যমান ছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু রকেটটি নজরের বাইরে চলে যাওয়ার পরও, দীর্ঘাকার ঈষৎ রক্তিম আভা চোখে পড়ে রাতের আকাশে।
9/12
পৃথিবী থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় রকেটটি যে বায়ুমণ্ডলে ছিদ্র তৈরি করেছে, ওই রক্তিম আভাই তার চিহ্ন বলে দাবি মহাকাশ বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা জানিয়েছেন, বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ারে ছিদ্র তৈরি করেছে আমেরিকার রকেট।
10/12
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের যে অংশে গ্যাস আয়নিত হয়, সেই অংশকেই বলা হয় আয়নোস্ফিয়ার। ভূপৃষ্ঠের ৮০ থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত সেটি। এর আগে, এ বছর জুলাই মাসে ইলন মাস্কের সংস্থা ‘Space X’-এর Falcon 9 রকেটও অ্যারিজোনার আকাশে এমনই রক্তিম দাগ রেখে যায়। কয়েকশো কিলোমিটার দূর থেকে সেটিও চোখে পড়ে।
11/12
পৃথিবীপৃষ্ঠ ছাড়ার পর, বায়ুমণ্ডলে যখব ২০০ থেকে ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকে রকেট, সেই সময় দ্বিতীয় পর্যায়ে তার জ্বালানিতে জোর পড়ে। তাতে রকেট থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং জলীয়বাষ্পের সংস্পর্শে এসে অক্সিজেনের পরমাণু সংযুক্ত হয়, অর্থাৎ সাধারণ অক্সিজেন অণুতে পরিণত হয়।
12/12
সেই সময় অণু থেকে নির্গত শক্তি আলোর আকারে ধরা দেয়, ঠিক যে ভারে মেরুজ্যোতি তৈরি হয়। বায়ুমণ্ডলে ওই ছিদ্র তৈরি হওয়ায়, তেমন কোনও বিপদের সম্ভাবনা নেই যদিও। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেটি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু গোটা বিষয়টি গোপন রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
Published at : 23 Sep 2023 02:58 PM (IST)