Strongest Marsquake: ছ’ঘণ্টা ধরে একটানা কম্পন, হতভম্ব বিজ্ঞানীরাও, মঙ্গলের মাটিতে কি আদৌ বসতি গড়ে তোলা সম্ভব?
আগে থেকে বেশ কিছু এলাকাকে চিহ্নিত করা হলেও, ইদানীং কালে পৃথিবীর বুকে ভূমিকম্পের ঘটনা বেড়েছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম, পৃথিবীর প্রায় সব প্রান্ত থেকেই মাটি কেঁপে ওঠার ঘটনা সামনে আসছে। সৌরজগতের অন্য গ্রহগুলিতেও ভূমিকম্প ঘটে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএ ব্যাপারে ব্যতিক্রমী নয় মঙ্গল গ্রহই। ২০২২ সালে সেখানে ৪.৭ তীব্রতায় ভূমিকম্প হয়। তার আগে ২০২১ সালে মঙ্গলের মাটি কেঁপেছিল ৪.২ তীব্রতায়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এক ঘণ্টার মধ্যেই যেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, ২০২২ সালের ৪ মে-র –ভূমিকম্পে টানা ছয় ঘণ্টা মঙ্গলের মাটি কেঁপেছিল।
এ যাবৎ এত তীব্র ভূমিকম্প এবং এতক্ষণ ধরে তার প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার নজির নেই। অন্য কোনও গ্রহে তো একেবারেই নেই। তবে মঙ্গলে ভূমিকম্পের ঘটনায় একেবারে হতবাক হননি বিজ্ঞানীরা। কারণ ২০১৮ সালে মঙ্গলের বুকে এলিসিয়াম প্লানিতিয়া এলাকায় অবতরণের পর, মহাকাশযান InSight সেখানে ১৩০০ বারেরও বেশি কম্পন অনুভব করে।
এর মধ্যে কমপক্ষে আটবার মাটি কেঁপে ওঠে গ্রহাণু আছড়ে পড়ার জেরে। ২০২২ সালের তীব্র ভূমিকম্পের নেপথ্যেও গ্রহাণু আছড়ে পড়ার তত্ত্ব সামনে রাখেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। তাই গ্রহাণু আছড়ে পড়ে সৃষ্ট বৃহদাকার গহ্বরের খোঁজ শুরু হয়।
ভারত, ইউরোপ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি নিজ নিজ স্যাটেলাইটকে কাজে লাগিয়ে দেয়। কিন্তু তন্নতন্ন করে খুঁজেও সেই গহ্বরের হদিশ মেলেনি আজও। আর তাতেই অন্য তত্ত্বে এসে পৌঁছন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের একাংশ দাবি করেন, পৃথিবীর মতো মঙ্গলের গর্ভেও সচল অবস্থায় রয়েছে একাধিক টেকটোনিক পাত।কিন্তু পৃথিবীর চেয়ে আয়তনে অনেকটাই ছোট মঙ্গল। তার গর্ভে টেকটোনিক পাত থাকলে গ্রহটি ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে বলে যুক্তি দেন বিজ্ঞানীদের অনেকেই।
এর পর InSight অনুসন্ধান শুরু করে। তাতে যে তত্ত্ব উঠে আসে, তা হল, কোট কোটি বছর ধরে মঙ্গলের মাটির অন্দরেও ভাঙাগড়া চলেছে। তাতে কোথাও কিছু অসামঞ্জস্য রয়ে গিয়েছিল। আচমকা সেখানে সঙ্কোচন এবং প্রসারণ হতেই কেঁপে ওঠে মঙ্গলের মাটি।
ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক বেঞ্জামিন ফার্নান্দো জানিয়েছেন, মঙ্গলের কিছু অঞ্চলে চাপ একটু বেশি, অন্যত্র আবার কম। কেন এই পার্থক্য তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে InSight এব্যাপারে সাহায্য করছে বিজ্ঞানীদের। বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণা হওয়া প্রয়োজন।
এই মুহূর্তে পৃথিবীর বিকল্প হিসেবে মঙ্গলকে বিকল্প বাসস্থান হিসেবে ভাবা হচ্ছে। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি ইলন মাস্ক তাতে অগ্রণী ভূমিকায় রয়েছে। কিন্তু যে হারে ভূমিকম্প হয় মঙ্গলে, তাতে সেখানে আদৌ মানুষ বাস করতে পারবেন কিনা, প্রশ্ন উঠছে।
১৭ অক্টোবর প্রকাশিত জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্সে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বিষয়টি সামনে আসার পর অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করছেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -