Body Scars: সরাজীবন শরীরে থেকে যায় ক্ষতের দাগ, কারণ জানেন?
সাধারণ ছড়ে-কেটে যাওয়া যদিও বা মিলিয়ে যায়, ক্ষত গভীর হলে দাগ থেকে যায় শরীরে। অস্ত্রোপচরারের দাগও থেকে যায় সারাজীবন। শরীরে দাগ রয়ে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কার্যকারণ।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appআমাদের ত্বকের মূলত তিনটি আস্তরণ রয়েছে। বহিরাবরণটিকে বলা হয় Epidermis. এই Epidermis স্তরটি সবচেয়ে পাতলা। চ্যাপ্টা কিছু কোষ নিয়ে গঠিত, যাদের Epithelian Cell বলা হয়।
বাইরের এই আবরণই ত্বককে রক্ষা করে। এই Epidermis-এর নীচের স্তর হল Dermis. ধমনী, রক্তনালি, অয়েল গ্ল্যান্ড, হেয়ার ফলিকল নিয়ে গঠিত পুরু এই আস্তরণ। এর মধ্যেই কোলাজেন। থাকে, যা টানটান রাখে ত্বককে।
এই Dermis-এর নীচের আস্তরণে বলা হয় Hypodermis, যা আঘাত থেকে ভিতরের অংশকে রক্ষা করে। শুধুমাত্র Epidermis ক্ষতিগ্রস্ত হলে পুরনো চামড়া উঠে আবার ঠিক হয়ে যায়।
কিন্তু আঘাত যদি Dermis পর্যন্ত পৌঁছয়, সেক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত কলাকে সারিয়ে তুলে কাজে নেমে পড়ে গোটা শরীর। ক্ষত সারিয়ে তুলতে প্রথমে মামড়ি তৈরি হয়। এর পর শুরু হয় প্রদাহ নিরাময়।
যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতি সারিয়ে তুলে উদ্যত হয় শরীর। এই তাড়াহুড়োর জেরে সুবিন্যস্ত ভাবে কোষগুলিকে সাজানো হয় না, এলোমেলো ভাবে একটির উপর আর একটি কোষ বসে যায়। তাই দাগ থেকে যায়।
সহজ ভাবে বোঝাতে কাপড়ের উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। কাপড় বোনার সময় বুনন যত সূক্ষ্ম এবং পরিপাটি হয়, কাপড় ততই মসৃণ, সুন্দর হয়। সুতোয় গিঁট পড়লে, এলোমেলো বুনন হলে কাজ হয় এবড়ো খেবড়ো।, অমসৃণ।
একই ভাবে দ্রুত ক্ষত সারাতে গিয়ে ফাইবারের বুনন এলোমেলো করে ফেলে শরীর। কোথাও বুনন হয় জমাট, কোথাও হয় ঢিলে।
গায়ের রং ফরসা হলে ক্ষতের দাগ প্রথম দিকে গোলাপি বা লাল দেখায়। সময়ের সঙ্গে রং গাঢ় হতে শুরু করে। গায়ের রং শ্যামলা হলে ক্ষতের দাগের রংও গাঢ় দেখায়।
কখনও কখনও আবার ক্ষতের দাগ ফোলা দেখায়। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় ধরে কোলাজেন জমা হলে এমন হয়। এই ধরনের ফোলা ক্ষতের দাগকে বলা হয় Keloid বা Hyperthroopic Scar.
কিছু বছর পর ক্ষতের দাগ হালকা হতেও শুরু করে। উপর উপর জমা হওয়া কোলাজেন ধীরে ধীরে সমান হতে শুরু হলে এমনটা ঘটে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -