Shots in the Arm: ব্যতিক্রম রয়েছে অবশ্যই, তবে হাতেই ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় বেশি, কারণ জানেন?
Science News: Shots in the Arm: হাতেই কেন অধিকাংশ সময় ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়, জানুন কারণ।
ছবি: পিক্সাবে।
1/10
করোনার সময় টিকা নিতে দলে দলে গিয়ে ভিড় করতেন। করোনা থিতিয়ে এলেও রোগভোগ লেগেই রয়েছে। ওষুধ-ইঞ্জেকশনের পালাও তাই চলছে।
2/10
কিন্তু কনুইয়ের উপর, হাতের উপর অংশেই মূলত ইঞ্জেকশন ফোটানো হয় কেন, ভেবে দেখেছেন কখনও? এর নেপথ্যে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কার্যকারণ।
3/10
রোটাভাইরাসের মতো কিছু টিকা আবার ফোঁটা ফোঁটা মুখে ফেলা হয়। তবে বেশির ভাগ ইঞ্জিকেশনই হাতে নিতে হয়। একে বলা হয় ইন্ট্রামাস্কুলার ইঞ্জেকশন।
4/10
হাম, মাম্পস, রুবেলা টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে আবার হালকা করে ফোটানো হয় সূচ, যাতে ত্বকের ঠিক নীচে টিকা পৌঁছয়। কিন্তু বেশির ভাগ টিকা এবং ইঞ্জেকশনই পেশিতে দেওয়া হয়।
5/10
এর সপক্ষে বিজ্ঞানীদের যুক্তি, পেশির কোষে রোগ প্রতিরোধী কোষ থাকে। অ্যান্টিজেন, অর্থাৎ ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভাইরাসকে শনাক্ত করতে পারে এরা। সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।
6/10
কোভিডের টিকা যদিও অ্যান্টিজেন নয়, অ্যান্টিজেন তৈরি করার জন্য কোভিড টিকা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে তড়িঘড়ি অ্যান্টিজেন শনাক্ত করে লসিকা গ্রন্থিতে পাঠিয়ে দেয়। অন্য রোগ প্রতিরোধী কোষগুলিও সতর্ক হয়ে যায়, লেগে পড়ে কাজে।
7/10
রোগ প্রতিরোধী কোষগুলি দ্রুত অ্যান্টিজেন শনাক্ত করে লসিকানালিতে পৌঁছে দেয়। সেখান থেকে লসিকাগ্রন্থিতে পৌঁছয় অ্যান্টিজেন। তারা অ্যান্টিবডির উৎপাদন শুরু করে। বাহুমূলের নীচে, কনুইয়ের উপরের অংশেই লসিকাগ্রন্থি গুচ্ছাকারে অবস্থান করে। ফলে দ্রুত প্রতিক্রিয়া মেলে।
8/10
পেশিতে ইঞ্জেকশন দিলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ওই জায়গার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে না। পেশির আকারের উপরও অনেক কিছু নির্ভর করে।
9/10
প্রাপ্তবয়স্ক এবং ছোটদের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় হাতের উপরের অংশে। একেবারে শিশুদের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় উরুতে। কারণ তাদের হাতের পেশি তখনও পূর্ণতা পায় না।
10/10
এর পাশাপাশি, রোগীর লাজ-লজ্জার কথাও মাথায় রাখা হয়। জামাকাপড় সরিয়ে উরুতে ইঞ্জেকশন নিতে অসহজ বোধ হয়। সেই তুলনায় হাতে ইঞ্জেকশন নেওয়া সহজ।
Published at : 29 Oct 2023 07:56 PM (IST)