AFG vs BAN: রশিদের চোখে জল, আফগানরা টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিতে পৌঁছতে কাবুল থেকে কান্দাহার উৎসবের আমেজ সর্বত্র
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টানটান ম্যাচশেষে আট রানে জয়। আর তাতেই তৈরি হল ইতিহাস। প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিজেদের স্থান পাকা করে নিল বাংলাদেশ।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appনবীন উল হকের বল মুস্তাফিজুর রহমানের প্যাডে লাগতেই জোরাল আপিল এবং তাতে আম্পায়ার আঙুল খাড়া করতেই উচ্ছ্বাসে ভাসে আফগানিস্তান।
সেই উচ্ছ্বাসের ঢল সেন্ট ভিনসেন্ট থেকে শুরু হয়ে ছড়িয়ে পড়ে গোটা আফগানিস্তানে। কাবুল থেকে কান্দাহার, আফগানরা রাস্তায় জমায়েত করে দেশের ক্রিকেট দলের এই ঐতিহাসিক জয় উদযাপন করেন।
বাড়ির ছাদ,রাস্তাঘাট, পাড়ার মোড়, উৎসবের মাতোয়ারা রশিদ খানদের দেশ।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মাত্র ৫ উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ১১৫ রানই করতে পেরেছিল আফগানিস্তান। দলের দুই ইনফর্ম ওপেনার সর্বাধিক ৫৯ রান যোগ করেন। রহমানুল্লাহ গুরবাজ় সর্বাধিক ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন।
জবাবে ১০৫ রানেই অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে জয় পায় আফগানরা।
দলের এই ঐতিহাসিক জয়ে দলের সম্ভবত সবথেকে বড় তারকা রশিদ খানের অবদান থাকবে না, তাও আবার হয় নাকি! অধিনায়ক রশিদ বল হাতে চার চারটি উইকেট নেন।
তবে এদিন ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হলেন নবীন উল হক। ২৬ রানে চার চারটি উইকেট নিলেন তিনি। ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হন নবীনই।
ম্যাচের পর রশিদ আবেগঘন। তাঁর চোখে জল। মহাতারকার এই আবেগই প্রমাণ করে দেয় আফগানিস্তান ক্রিকেটের ইতিহাসে আজকের দিনটা ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠাণে রশিদ মনে করিয়ে দেন, বিশেষজ্ঞদের মধ্যে কেবল ব্রায়ান লারা তাঁদের সেমিফাইনালে জায়গা দিয়েছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তিকে সঠিক প্রমাণিত করতে পেরে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত রশিদ।
অস্ট্রেলিয়ানকে হারিয়ে গুলবদিন হুঙ্কার ছেড়েছিলেন, 'এই তো সবে শুরু।' আফগানিস্তানের এই স্বপ্নের দৌড় ঠিক কোথায় শেষ হবে, তা অনুমান করার দুঃসাহস হয়তো আর কেউই করবেন না।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -