Suvojit Banerjee Death: খেলেছেন ইউসুফ পাঠান-হুডাদের বিরুদ্ধে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ঊনচল্লিশেই মৃত্যু!
বয়স মাত্র ৩৯। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আচমকাই প্রয়াত বাংলার ক্রিকেটার। বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের জন্য যখন গোটা শহর সেজে উঠছে, তখন অন্ধকার নামল কলকাতা ময়দানে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appহৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (Suvojit Banerjee Death)। গোটা ময়দান যাঁকে চিনত ঘোড়া নামে। সোমবার সকালে সোনারপুরের বাড়িতে ঘুমের মধ্যেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শুভজিৎ।
সোমবার বিকেলে সোনারপুর নোয়াপাড়ায় শুভজিতের বাড়িতেই ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গত মরশুমেও সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটার সুরজিৎ যাদব। এবিপি আনন্দকে বললেন, 'সোমবার সকালে উঠে প্রাতঃরাশ সেরেছিল। তারপর ফের ঘুমিয়ে পড়ে। বেলার দিকে ওর বাবা ডাকাডাকি করতেও না ওঠায় চিকিৎসক ডাকা হয়। দু'জন চিকিৎসক এসে ওকে মৃত বলে ঘোষণা করেছে।'
সাল ২০১৪। বাংলা দলের অধিনায়ক তখন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। ৭ নভেম্বর কল্যাণীতে বিজয় হাজারে ট্রফির পূর্বাঞ্চলীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলা ও ওড়িশা। বিপ্লব সামন্তরায়, বসন্ত মোহান্তিদের বিরুদ্ধে লিস্ট এ ম্যাচে অভিষেক হয় শুভজিতের। সেই ম্যাচে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৫১ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। সেই ম্যাচটি ২৫ রানে জেতে বাংলা।
সে বছরই ডিসেম্বরে বঢোদরায় ইউসুফ পাঠান, মুনাফ পটেল, দীপক হুডাদের বঢোদরার বিরুদ্ধে রঞ্জি অভিষেক হয় শুভজিতের। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১ রান করে আউট হন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে নজর কাড়েন। দীপক হুডার বলে আউট হওয়ার আগে ৪৪ রান করেন।
সব মিলিয়ে ডানহাতি ব্যাটার ৩টি রঞ্জি ও ৪টি লিস্ট এ ম্যাচ খেলেন। পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে দাপটের সঙ্গে খেলেছেন। স্থানীয় ক্রিকেটে প্রণব নন্দীর প্রশিক্ষণে প্রচুর রান করেন। গত মরশুমেও খেলেছেন মনোহরপুকুর মিলন সমিতির হয়ে।
শুভজিৎ হারিয়ে গেলেন কীভাবে? শোনা গেল, ব্যক্তিগত জীবনে ঝড়ের জন্য বেহিসেবি জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। ময়দানের কেউ কেউ বলছিলেন, মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন এক সময়। সেই কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
কব্জির মোচড়ে যে কোনও বলকে অনসাইডে পাঠানোর জন্য কলকাতা ময়দানে বিখ্যাতে ছিলেন শুভজিৎ। বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক প্রণব নন্দীর প্রশিক্ষণে ইস্টবেঙ্গলে খেলেছেন দীর্ঘদিন।
একবছর ইষ্টবেঙ্গল ক্লাবের হয়ে ৯ টা সেঞ্চুরি করেছিল ঘোড়া। ২০১৫ সালে প্রণব নন্দী স্যার অনুর্দ্ধ ১৯ বাংলা দলের কোচ হন। আর সেই বছরই ইষ্টবেঙ্গল দলের কোচ হলেন সব্যসাচী শীল। ২০১৬-১৭ ক্রিকেট মরসুমে একের পর এক ক্রিকেটার ইষ্টবেঙ্গল ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও থেকে গিয়েছিলেন ময়দানে ঘোড়া নামে পরিচিত শুভজিৎ। তাঁর নেতৃত্বে সে বছর স্থানীয় ক্রিকেটে চারটি ট্রফি জিতেছিল ইষ্টবেঙ্গল ক্লাব|
শুভজিতের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ময়দান। সিএবি-র পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। মঙ্গলবার স্থানীয় লিগের সব ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে শুভজিৎকে শ্রদ্ধা জানাতে নীরবতা পালন করেন বিভিন্ন ক্লাবের ক্রিকেটারেরা। ছবি - ফেসবুক, সিএবি
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -