R Praggnanandhaa: ছেলে দাবার বোর্ডে ঝড় তুলেছেন, পাশে দাঁড়িয়ে গর্বিত মা, প্রজ্ঞাননন্দ-নাগলক্ষ্মীর ছবি ভাইরাল
আজ়েরবাইজ়ানে দাবা বিশ্বকাপ চলাকালীন পাকস্থলীর সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছিলেন ম্যাগনাস কার্লসেন (Magnus Carlsen)। যা তাঁর মনঃসংযোগে ধাক্কা দিয়েছিল বলেই খবর।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appআর প্রজ্ঞাননন্দ (Praggnanandhaa) যাতে হজমজনিত সমস্যায় না পড়েন, যেন তিনি চৌষট্টি খোপের জগতে সম্পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে ইনডাকশন স্টোভ ও রাইস কুকার নিয়ে ঘোরেন তাঁর মা নাগলক্ষ্মী!
এমনকী, বাকুতেও তিনি সেই রাইস কুকার নিয়ে গিয়েছিলেন। যাতে তিনি প্রজ্ঞাননন্দের প্রিয় পদ নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াতে পারেন।
বাকুতে প্রজ্ঞাননন্দের মায়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। দাবার বোর্ডে যখন স্বপ্ন বুনছেন চেন্নাইয়ের ১৮ বছরের দাবাড়ু, তখন ক্যামেরায় বারবার ধরা পড়েছে প্রজ্ঞাননন্দের মায়ের ছবি।
কোনও ছবিতে তিনি আনন্দে উদ্ভাসিত। কোনও ছবিতে স্নায়ুর চাপ সামলাতে না পেরে মুখ ঢেকেছেন। কোনও ছবিতে আবার যেন কাঁদতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
বিশেষ করে একটি ছবি নিয়ে বেশ চর্চা চলছে। যে ছবিতে দেখা যাচ্ছে, প্রজ্ঞাননন্দ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। আর পাশে দাঁড়িয়ে দেখছেন গর্বিত মা।
নাগলক্ষ্মীর চোখে বিস্ময়, আনন্দ আর গর্ব মেশানো অভিব্যক্তি। ছবিটি দাবা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে অর্জুন এরিগাইসিকে প্রজ্ঞাননন্দ হারানোর পরে তোলা।
ছোটবেলা টিভি দেখার নেশা ছিল প্রজ্ঞাননন্দ ও তাঁর বোন বৈশালীর। সেই অভ্যাস ছাড়াতেই তাঁদের দাবার ক্লাসে পাঠান অভিভাবকেরা।
ছেলে-মেয়েকে দাবার ক্লাসে নিয়ে যেতেন নাগলক্ষ্মী। বিদেশে টুর্নামেন্ট খেলতে গেলেই প্রজ্ঞাননন্দের সঙ্গী হন তাঁর মা। সঙ্গে ইনডাকশন স্টোভ ও রাইস কুকার। যাতে বাড়ির পদ রেঁধে খাওয়াতে পারেন ছেলেকে। এমনকী, বাড়ি থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে বসেও।
প্রজ্ঞাননন্দ ও বৈশালীর গর্বিত বাবা, রমেশবাবু বলেছেন, 'আমি অবশ্যই আমার স্ত্রীকে কৃতিত্ব দেব। ভীষণ সাহায্য করেছে ছেলে ও মেয়েকে। দারুণ যত্ন নিয়েছে ওদের। বৈশালীর টিভি দেখার নেশা ছাড়ানোর জন্য দাবায় ভর্তি করেছিলাম। তারপরই দুই সন্তান দাবাকে ভালবেসে ফেলে। আমি দেখি ওরা ভীষণ উপভোগ করছে। দাবা ওদের নেশায় পরিণত হয়েছে।' ছবি - পিটিআই
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -