International Women's Day: সিন্ধু, মেরি কম, সানিয়া, দীপা, সারা দেশে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন এই মহিলা ক্রীড়াবিদরা
অলিম্পিক্স, এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমস বা অন্যান্য প্রতিযোগিতা, গত কয়েক বছর ধরে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পাচ্ছেন ভারতের মেয়েরা। তাঁরা দেশকে গর্বিত করেছেন এবং শুধু অন্য মেয়েদের কাছেই নয়, ছেলেদের কাছেও অনু্প্রেরণা হয়ে উঠেছেন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App৬ বার ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা মহিলা বক্সার এম সি মেরি কম অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। তিনি অলিম্পিক্সেও পদক পেয়েছেন। প্রথম ভারতীয় মহিলা বক্সার হিসেবে এশিয়ান গেমসে সোনাও জিতেছেন মেরি কম।
একমাত্র ভারতীয় মহিলা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসেবে অলিম্পিক্সে জোড়া পদক জিতেছেন পিভি সিন্ধু। তিনি ২০১৬ রিও অলিম্পিক্সে রুপো জেতার পর টোকিওতে ব্রোঞ্জ জেতেন। মাত্র ২১ বছর বয়সেই তিনি অলিম্পিক্সে প্রথম পদক পান। দেশের সবচেয়ে কমবয়সি অ্যাথলিট হিসেবে অলিম্পিক্সে পদক পান তিনি।
অলিম্পিক্সে প্রথম ভারতীয় ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসেবে পদক জেতেন সাইনা নেহওয়াল। ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিক্সে তিনি ব্রোঞ্জ জেতেন। তিনি ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে দু’বার পদক জিতেছেন। প্রথম ভারতীয় মহিলা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসেবে তিনি বিশ্ব ক্রমতালিকায় এক নম্বর হন।
ভারতে মহিলাদের টেনিসকে জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বেশি অবদান সানিয়া মির্জার। তিনি সিঙ্গলস খেলোয়াড় হিসেবে গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেলা শুরু করার পর ডাবলস ও মিক্সড ডাবলসে সাফল্য পান। ডাবলসে ৯১ সপ্তাহ ধরে তিনি বিশ্বের এক নম্বর ছিলেন।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মিতালি রাজও অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। মহিলাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান মিতালিরই। তিনিই একমাত্র মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিকে ৬,০০০ রান করেছেন।
কুস্তিতে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন গীতা ফোগট। ২০১০ কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জেতেন তিনি। প্রথম ভারতীয় মহিলা কুস্তিগীর হিসেবে তিনি অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করেন। তাঁর জীবন অবলম্বনে হিন্দি ছবিও হয়েছে।
২০১৬ রিও অলিম্পিক্সে কুস্তিতে ব্রোঞ্জ পান সাক্ষী মালিক। তিনিই প্রথম ভারতীয় মহিলা কুস্তিগীর হিসেবে অলিম্পিক্সে পদক জেতেন।
তীরন্দাজিতে একসময় বিশ্বের এক নম্বর হয়েছিলেন দীপিকা কুমারী। তিনি এখন পাঁচ নম্বরে। তিনি দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছেন। তবে তার তুলনায় সেভাবে স্বীকৃতি পাননি।
আগরতলার বাঙালি জিমন্যান্স দীপা কর্মকার রিও অলিম্পিক্সে চতুর্থ হন। অল্পের জন্য পদক পাননি তিনি। তবে তাঁর লড়াই সারা বিশ্বের নজর কেড়ে নেয়।
মহিলা দাবাড়ু তানিয়া সচদেব আন্তর্জাতিক স্তরে অসাধারণ সাফল্য পেয়েছেন। তিনি ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার ও মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছেন। তানিয়া এখন দেশের অন্যতম সেরা মহিলা দাবাড়ু।
মাত্র ১৫ বছর বয়সেই দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলেন রানি রামপাল। তিনি এখন ভারতীয় দলের নির্ভরযোগ্য সদস্য। দেশকে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছেন রানি। চ্যাম্পিয়ন্স চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। তিনি এই প্রতিযোগিতার সেরা কমবয়সি খেলোয়াড়ও হন।
স্কোয়াশে দেশের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় দীপিকা পাল্লিকল। তিনি বিশ্বের সেরা ১০ জন খেলোয়াড়ের অন্যতম। তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -