IPL Auction: নিলামে কোনও ক্রিকেটারকে কেনার পর বাজেট সমস্যায় পড়লে তাঁকে কি পরবর্তীতে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব?

IPL Auction 2026: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর আবু ধাবিতে বসতে চলেছে এবারের আইপিএল নিলামের আসর।

কী বলছে আইপিএলের নিয়ম?

একবার নিলামকারীর হাতুড়ি পড়ে এবং বিড সফলভাবে ঘোষিত হয়, তখন এটি একটি বাধ্যতামূলক চুক্তি হয়ে যায়। সেই মুহূর্তে, ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সেই খেলোয়াড়ের পরিষেবার জন্য বিসিসিআই-এর সাথে একটি চুক্তিগত বাধ্যবাধকতায় আবদ্ধ হয়ে যায়।

এটি কোনো মৌখিক প্রতিশ্রুতি নয়, বরং আইপিএল নিয়ম ও ফ্র্যাঞ্চাইজি চুক্তির সাথে একটি আনুষ্ঠানিক অঙ্গীকার।

কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি পরে বাজেট সমস্যা, দলীয় ভারসাম্যের সমস্যা অথবা কৌশলগত পরিবর্তনের কারণে কিন্তু পরবর্তীতে পিছু হটতে পারে না।

যদি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি সফল দরপত্রের পর সরে আসার চেষ্টা করে, তবে সেটিকে চুক্তির লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য করা হয়।

এর জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে বিসিসিআই ভারী আর্থিক জরিমানা করতে পারে। এর মধ্যে দরপত্রের পরিমাণ বাজেয়াপ্ত করা, অতিরিক্ত জরিমানা বা উভয়ই অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

Continues below advertisement

আইপিএল এটা নিশ্চিত করে যে ফ্র্যাঞ্চাইজির ভুলের কারণে খেলোয়াড়ের খেলার থেকে যাতে বিরত না হন। যদি কোনো দল বিডের সম্মান জানাতে অস্বীকার করে, তাহলে বিসিসিআই খেলোয়াড়কে নিলামের পুলে ফেরত পাঠাতে পারে এবং অন্য কোনো দলের দ্বারা রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে তাকে সই করার অনুমতি দিতে পারে। এর ফলে কারো কোনো ক্ষতি হলে, সেই ক্ষতি পূরণ করা যেতে পারে যে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভুল করেছে তার থেকে।

আর্থিক জরিমানা ছাড়াও, নিলাম থেকে নাম প্রত্যাহার করলে ফ্র্যাঞ্চাইজির সম্মানহানি হয়। খেলোয়াড়, এজেন্ট এবং এমনকি স্পনসররাও এমন দলের সাথে চুক্তি করতে দ্বিধা বোধ করতে পারে।

বিসিসিআইয়ের ফ্র্যাঞ্চাইজি চুক্তির অধীনে নিয়ম ভাঙলে দলগুলোকে শাস্তি দেওয়ার অধিকার রয়েছে বোর্ডের। জরিমানার পাশাপাশি, ভবিষ্যতের নিলামে নিষেধাজ্ঞা, স্যালারি ক্যাপে হ্রাস বা অন্যান্য উপযুক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।