Ranji Trophy Exclusive: 'তিনজন ছন্দে থাকলে যে কোনও ব্যাটিং লাইন আপকে তছনছ করে দেব'
প্রথম ইনিংসে ৬১ রানে ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রানে ৫ উইকেট। সব মিলিয়ে ম্যাচে ১০ উইকেট। রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy) আকাশ দীপের (Akash Deep) আগুনে বোলিংয়ে ছারখার হয়ে গেল হরিয়ানার ব্যাটিং।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবোনাস পয়েন্ট সহ ম্যাচ জিতে নক আউটে জায়গা পাকা করে নিল বাংলা। আর ম্যাচের সেরা হলেন ডানহাতি পেসার আকাশ।
কেরিয়ারে প্রথমবার ১০ উইকেট পাওয়ার অনুভূতিটা কীরকম? দিল্লি থেকে মোবাইল ফোনে এবিপি লাইভকে আকাশ বলছিলেন, 'ক্রিকেটার হিসাবে ম্যাচে ১০ উইকেট পেলে ভাল লাগবে যে কারও। তবে আমার লক্ষ্য বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফি জেতা। তাই আমি ব্যক্তিগত সাফল্যকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ।'
২০১৯-২০ মরসুমে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে উঠেও সৌরাষ্ট্রের কাছে হেরে গিয়েছিল বাংলা। যে পরাজয় এখনও যন্ত্রণা দেয় বাংলার পেসারকে।
আকাশদীপ বলছেন, 'নক আউট নিশ্চিত হল, এটাই একমাত্র ভাল দিক। এখন সেলিব্রেট করার সময় নয়। একটা ম্যাচে ১০ উইকেট পেয়েছি সেটা লোকে ভুলে যাবে। কিন্তু রঞ্জি ট্রফি জিতলে মানুষ অনেক দিন মনে রাখবে। তিন বছর আগে ফাইনালে উঠেও হেরে যাওয়ার যন্ত্রণা কুড়ে কুড়ে খায়। যতদিন না ট্রফিটা পাচ্ছি, ততদিন সেই আক্ষেপ যাবে না।'
মুকেশ কুমার, আকাশ দীপ ও ঈশান পোড়েল। বাংলার তিন পেসারই ছন্দে রয়েছেন। ত্রয়ীর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত আকাশ। বলছিলেন, 'আমি, মুকেশ ভাই, ঈশান পোড়েল - তিনজনই একে অপরকে খুব ভাল বুঝি। একে অন্যের সাফল্য উপভোগ করি। মুকেশ ভাই উইকেট পেলে আমি খুশি হই। ঈশান উইকেট পেলেও আনন্দ হয়। উইকেট নেওয়া আমাদের হাতে নেই। ভাল বল করা আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোন বলে উইকেট আসবে কেউই বলতে পারে না। আমাদের পরিকল্পনা থাকে সঠিক জায়গায় বল করে যাওয়া। উইকেট কেউ না কেউ পাবেই।'
আকাশ আরও বললেন, 'শুক্রবার ম্যাচের শেষ দিন তিনজনই মাঠে নেমেছিলাম এটা ভেবে যে, অভ্রান্ত নিশানায় বল করে যাব। সেটাই করেছি। তাতে কাজ হয়েছে।'
শেষ দিন মাঠে নামার আগে কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল ও অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারির বার্তা কী ছিল? 'ওরা বলেছিল যে, সুসংহতভাবে ক্রিকেট খেলতে হবে। দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই ২৫-৩০টি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে। সকলে পরিণত। জানে কোন পরিস্থিতিতে কাকে কী করতে হবে,' বলছিলেন আকাশ।
বাংলার পেস ত্রয়ী কি এই মুহূর্তে দেশের সেরা? আকাশ দীপ বলছেন, 'আমরাই সেরা কি না, সেটা বলব না। তবে গোটা দেশ যদি তাই মনে করে, সেটা আমাদের জন্য খুব খুশির ব্যাপার হবে। আমরা জানি যে, তিনজনে ছন্দে থাকলে যে কোনও ব্যাটিং লাইন আপকে তছনছ করে দেব। আমাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রচুর রান করে যাবে, তা হতে দেব না।'
আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে খেলেন। তাঁকে রিটেন করেছে আরসিবি। বিরাট কোহলিদের কাছ থেকে দেখে অনেক কিছু শিখেছেন। আকাশ বলছেন, 'আইপিএল থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমি মনে করি শেখার কোনও শেষ হয় না। বিরাট ভাইকে সামনে থেকে প্রস্তুতি নিতে দেখেছি। ওদের দেখলে নিজেকে অনেক উন্নত করে তোলা যায়। মানসিক প্রস্তুতি কীভাবে নিতে হয় জেনেছি। একটা জিনিস দেখেছি যে, দক্ষতায় খুব বেশি এগিয়ে-পিছিয়ে কেউ থাকে না। সবটাই নির্ভর করে মানসিকতার ওপর। পরিশ্রমের ওপর।'
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -