Surajit Sengupta Demise : শিল্পী-হারা ময়দান, ঘরের ছেলে সুরজিৎ সেনগুপ্তকে শেষ শ্রদ্ধা লাল-হলুদ তাঁবুতে
শিল্পী হারাল ময়দান। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৩ জানুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি হন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appধীরে ধীরে অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর হয়ে মৃত্যু কলকাতা ময়দানের অন্যতম সেরা বল-প্লেয়ারের।
লাল হলুদের ঘরের ছেলে। সন্ধেবেলায় হাসপাতাল থেকে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে। সেখানে অগনিত ফুটবল ভক্তদের ভিড়।
ঢোকার মুখেই প্রয়াত ফুটবলারকে সম্মান জানায় জুনিয়র ফুটবলারেরা। ছিলেন প্রাক্তনরাও। অর্ধনমিত থাকে ক্লাবের পতাকা। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
পরবর্তী গন্তব্য মোহনবাগান ক্লাব। সেখান থেকেই তাঁর দেহ নিয়ে আসা হয় গল্ফগ্রিনের বাড়িতে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় একটি ক্লাবে। শ্রদ্ধা জানাতে জমায়েত অসংখ্য মানুষের।
এরপর, শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। ময়দানের সোনালি প্রজন্মের অন্যতম সেরা ফুটবলারের প্রয়াণে শোকাচ্ছন্ন ক্রীড়ামহল।
১৯৭৩ পর্যন্ত খেলেছেন মোহনবাগানে। ১৯৭৪-এ লাল হলুদে যোগ। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত খেলেছেন ইস্টবেঙ্গলে। মাঠজুড়ে যেন স্কিলের রঙ-তুলি। লাল হলুদেই বল-শিল্পীর সেরা সময়। ডুরান্ড থেকে আইএফএ শিল্ড, মোট ১২ টি ট্রফি দিয়েছিলেন ক্লাবকে।
১৯৭৫-এর ঐতিহাসিক আইএফএ শিল্ডের ফাইনালেও তাঁর স্কিলের বিচ্ছুরণ। ম্যাচের ৫ মিনিটের মধ্যে গোল করে এগিয়ে দেন লাল হলুদকে। বাকিটা তো ইতিহাস! সেই অবিস্মরণীয় ফাইনালে ৫-০ গোলে চির-প্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে চুরমার করেছিল ইস্টবেঙ্গল।
আইএফএ শিল্ড, ডুরান্ডের পাশাপাশি, সন্তোষ ট্রফিতেও ঈর্ষণীয় সাফল্য। টানা ৫ বার সন্তোষ ট্রফি জিতিয়েছিলেন বাংলাকে। এশিয়ান গেমসে ভারতীয় দলের প্রতিনিধিত্বও করেছেন।
শেষ জানুয়ারিতে আচমকাই বিদায় নিয়েছিলেন ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা ফুটবল মস্তিষ্ক সুভাষ ভৌমিক। আর মাঝফেব্রুয়ারিতে তাঁরই সতীর্থ বলশিল্পীর প্রয়াণ। বাংলা তথা ভারতীয় ফুটবলের এক বর্ণময় অধ্যায়ের অবসান।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -