Planet 9: মহাশূন্যে লুকোচুরি খেলা, ধরতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা, কিন্তু পালিয়ে বেড়াচ্ছে ‘নবম গ্রহ’
পদে পদে অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে। কিন্তু ধরতে গেলেই বেপাত্তা। আক্ষরিক অর্থেই মহাশূন্যে বিজ্ঞানীদের নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাচ্ছে ‘প্ল্যানেট ৯’। কার্যত লুকোচুরি খেলে বেড়াচ্ছে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App‘প্ল্যানেট ৯’ বলতে বিজ্ঞানীরা সৌরজগতের বাইরে থাকা নবম গ্রহ বলে অনুমান মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। এখনও পর্যন্ত সেটিকে সরাসরি দেখা যায়নি। তবে মহাশূন্যে তার অস্তিত্ব টের পাওয়া গিয়েছে।
বিজ্ঞানীদের অনুমান, কোনও দিন সেটির অস্তিত্ব পাওয়া গেলে হয়ত দেখা যাবে সেটি অজস্র ছোট ছোট উপগ্রহ দ্বারা পরিবেষ্টিত। বরং ওই ছোট ছোট অজস্র চাঁদই ‘নিখোঁজ’ গ্রহের সন্ধান পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে অনুমান বিজ্ঞানীদের।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, সত্যই যদি অস্তিত্ব থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে নেপচুনের কক্ষপথের অন্য প্রান্তে, বরফাবৃত কুইপার বেল্টে লুকিয়ে থাকে ‘প্ল্যানেট ৯’।
২০১৬ সালে প্রথম বার ‘প্ল্যানেট ৯’-এর অস্তিত্ব রয়েছে বলে সুপারিশ করেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানান, নেপচুনের অন্য প্রান্তে কিছু গ্রহাণু, ধূমকেতু, উপগ্রহ এবং বামনগ্রহের আবর্তগতি বাকিদের তুলনায় অস্বাভাবিক। অনাবিষ্কৃত ‘প্ল্যানেট ৯’-এর অভিকর্ষ শক্তির প্রভাবেই এমন ঘটে বলে অনুমান বিজ্ঞানীদের।
গবেষকদের মতে, আয়তনে পৃথিবীর চেয়ে পাঁচ থেকে ১০ গুণ বড় হতে পারে ‘প্ল্যানেট ৯’। পৃথিবী যতদূর থেকে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে, ‘প্ল্যানেট ৯’-এর দূরত্ব তার চেয়ে ২৫০ গুণ বেশি।
তবে নাম ‘প্ল্যানেট ৯’ হলেও, অনাবিষ্কৃত ওই মহাজাগতিক বস্তু বাস্তবে ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরও হতে পারে।
এখনও পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি চালিয়েও অনাবিষ্কৃত উজ্জ্বল কোনও বস্তুর হদিশ পাননি বিজ্ঞানীরা। তবে তাঁদের মতে, সূর্য থেকে এতই বেশি দূরে অবস্থান যে, সূর্যের আলো গিয়ে নাও পড়তে পারে তার উপর।
তাই আগামী দিনে অন্য কোনও মহাজাগতিক বস্তুর উপর ‘প্ল্যানেট ৯’-এর ছায়া পড়া অবধি অপেক্ষা করছেন বিজ্ঞানীরা।
অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে, জ্যোতির্বিজ্ঞানী মান হো চান জানান, ‘প্ল্যানেট ৯’-কে প্রদক্ষিণ করে চলা প্রথম ২০টি উপগ্রহের গতিবিধির উপর নজরদারি চালালেই মিলতে পারে ‘প্ল্যানেট ৯’-এর খোঁজ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -