নৌকাডুবি ঘিরে রণক্ষেত্র শান্তিপুর-কালনা, দেখুন তারই কিছু খণ্ডচিত্র
পুলিশ-জনতা দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appউত্তেজিত জনতাকে সামলাতে রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাল পুলিশ।
রাতে নৌকাডুবির পর দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু না হওয়ায় আজ সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় শান্তিপুরের নৃসিংহপুর এলাকায়।
কালনা থেকে শান্তিপুর যাওয়ার পথে গঙ্গায় নৌকাডুবি। নিখোঁজ বহু। গতকাল রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কালনা ঘাটের কাছে শতাধিক যাত্রী বোঝাই একটি নৌকা নদীতে উল্টে যায়। গ্রামবাসীরাই দ্রুত উদ্ধারকাজে নামেন। কয়েকজনকে উদ্ধার করা হলেও, এখনও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। সময়ে উদ্ধারকাজ শুরু না হওয়ায় তীব্র উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।
৫ বছরের মেয়ের হাত ধরে এসেছিলেন মেলায়। কিন্তু, মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আর বাড়ি ফিরতে পারেননি কালনার ধাত্রীগ্রামের বাসিন্দা সাবিত্রী বর্মন। গতকাল রাতের নৌকাডুবির পর থেকেই নিখোঁজ তাঁর ৫ বছরের শিশু লক্ষ্মী। এখনও পর্যন্ত শিশুটির কোনও খোঁজ মেলেনি। এদিকে, কালনা ঘাটে থমকে রয়েছে উদ্ধারকাজ। যা ঘিরে তীব্র অসন্তোষ দানা বেধেছে এলাকাবাসীর মধ্যে।
উদ্ধারকাজ নিয়ে গড়িমসি চলে বেলা ২টোর পরও। তখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করেন ক্ষুব্ধ জনতা।
পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। মাথা ফাটল শান্তিপুর থানার এসআই মহম্মদ ইলিয়াসের। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে নদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয় প্রসাদ ও রানাঘাটের এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ বসু। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে কাঁদানে গ্যাসের গোলা ছোড়ে পুলিশ। নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স।
বিক্ষোভের মাঝেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি নৌকা, লঞ্চ ও যাত্রী বিশ্রামাগারে
প্রতিবাদে ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা লঞ্চ ও একাধিক নৌকা ও যাত্রী বিশ্রামাগারে আগুন উত্তেজিত জনতার।
কালনা থেকে শান্তিপুর যাওয়ার পথে নৌকাডুবির ঘটনায় অগ্নিগর্ভ শান্তিপুর।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -