করোনাভাইরাস: জনতা কার্ফু-তে কেমন চেহারা হল শহর কলকাতার? দেখুন
আজ থেকে এক সপ্তাহ আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ। কলকাতা বিমানবন্দরে যাত্রী সংখ্যা কম। যাত্রী কম থাকায় বেশ কয়েকটি বিমান বাতিল হয়েছে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appস্তব্ধ উল্টোডাঙা মোড়। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে রাস্তায় বেরিয়েছেন কয়েকজন। কয়েকটি বাস-ট্যাক্সিকে রাস্তায় দেখা গিয়েছে। তবে তা ছিল ফাঁকা।
শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা চত্বর। শুনশান। দূরপাল্লার বাসে চড়ে কলকাতায় পৌঁছেছেন কয়েকজন যাত্রী। কিন্তু তাঁদের সংখ্যা নেহাতই কম।
সকাল থেকে শুনসান শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়। লোকজন নেই। দেখা মেলেনি গণ পরিবহণেরও। কাছেই আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। তাই কয়েকটি অ্যাম্বুল্যান্সকে চলাচল করতে দেখা যায়।
ফাঁকা ইএম বাইপাস। রুবি মোড়ে দাঁড়িয়ে ইতিউতি দেখা মিলল কয়েকটি গাড়ি। সরকারি বাস চললেও তাতে যাত্রী সংখ্যা কম।
জনশূন্য রাসবিহারী মোড়। রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। রাস্তায় দেখা মিলল কয়েকটি সারমেয়র।
কলকাতার ব্যস্ততম এলাকা পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট ক্রসিং। বন্ধ শপিং মল। সংলগ্ন রাস্তাঘাটও শুনসান।
শুনসান সল্টলেক সেক্টর ফাইভ। অধিকাংশ সংস্থাই কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ চালানোর পরামর্শ দিয়েছে। তাই জনশূন্য তথ্যপ্রযুক্তি হাব।
করোনা সংক্রমণ রুখতে আজ সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গোটা দেশজুড়ে জনতা কার্ফু। সতর্ক রাজ্য। এক ঝলকে দেখে নেব শহর কলকাতার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকার ছবি। কসবা এলাকায় দোকানপাট, বাজার বন্ধ। রাস্তায় লোকজনের সংখ্যাও কম। গড়িয়াহাট এলাকা শুনসান। বেহালা পর্ণশ্রী থেকে সল্টলেকগামী বাস। যাত্রী নেই। সরকারি বাসের কনডাক্টর জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশ মেনে বাস চললেও, যাত্রীর দেখা নেই। একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বেরোতে চান না যাত্রীরাও।
অন্যদিন গাড়ির চাপ থাকলেও, আজ জনশূন্য সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ। যানবাহন নেই।লোকজন আরও কম।
মানিকতলা বাজার বন্ধ। দু’ একটি দোকান খোলা। গতকাল বাজার করতে পারেননি বলে সকালে দোকানে এসেছিলেন এক ক্রেতা। সংক্রমণ এড়াতে গৃহবন্দি থাকার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।
হাওড়া ব্রিজ শুনসান। অন্যদিনের তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা। বাসস্ট্যান্ডেও হাতে গোনা বাস। যাত্রী সংখ্যা আরও কম। দেখা নেই বেসরকারি বাসের। ট্যাক্সিরও দেখা নেই।
দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। এই পরিস্থিতিতে এদিন হাওড়ায় পৌঁছল স্পেশাল ট্রেন। নামার পরেই যাত্রীদের দেওয়া হয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এরপর থার্মাল স্ক্রিনিং। মুম্বই ফেরত সমস্ত যাত্রীকে সরকারের তরফে বিনা ভাড়ায় বাড়িতে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয়।
ফাঁকা সল্টলেকের করুণাময়ী মোড় সহ বিভিন্ন রাস্তা। দু’ একটি সরকারি বাস চললেও, যাত্রী নেই বললেই চলে। কয়েকটি অটো চলছে। তবে এই সুযোগে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন অটো চালকরা।
আজ ভোর ৪টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বন্ধ সমস্ত মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন। তবে রাত ১২টার আগে ছাড়া ট্রেন বা যে সব ট্রেন রাস্তায় রয়েছে সেগুলি যে যার গন্তব্যে পৌঁছবে। সকালে শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছেছে কয়েকটি ট্রেন। আজ লোকাল ট্রেন চলবে। তবে অন্যদিনের তুলনায় কম।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -