উমপুনের তাণ্ডবে তছনছ কলকাতা, বিধ্বস্ত দুই পরগনা, গেল একাধিক প্রাণ
বুধবার রাত থেকেই ধাপে ধাপে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। তবে এই ধাক্কা পুরোপুরি সামাল দিতে কত সময় লাগবে, সেই উত্তর এখনও নেই কারও কাছে।
বুধবার বিকেলে ঝড়ের সময় হাওড়ার শালিমারে, বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিল ১৩ বছরের লক্ষ্মী সাউ। তখনই গেটের উপরের চাঙর ভেঙে পড়ে মাথায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
উত্তর চব্বিশ পরগনাতেই মিনাখায় ঝড়ে গাছ পড়ে মারা গিয়েছেন এক মহিলা। প্রশাসন সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রায় ৫ হাজারের বেশি কাঁচা বাড়ি ভেঙেছে। হাওড়ায় এই সংখ্যাটা প্রায় ৯০০।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের ২ নম্বর ব্লকে, বাড়ির উঠোনে গাছ পড়ে মৃত্যু হয় এক তরুণের। মৃতের নাম মহান্ত দাস। বয়স ২০ বছর।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমায় ভেঙে গিয়েছে বাঁধ! কচুবেড়িয়ায় ভেঙেছে জেটি। উত্তর চব্বিশ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি বাঁধ।
উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাটে এক তরুণ। এবং মিনাখাঁয় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের ইটাবেরিয়া এবং ভূপতিনগরে মৃত্যু হয় আরও দু’জনের।
ঘূর্ণিঝড় উমপুনের তাণ্ডবে কলকাতার রিজেন্ট পার্কে গাছ চাপা পড়ে মৃত হয়েছে মা ও ছেলের। হাওড়ার শালিমারে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরীর।
বুধবার কলকাতা এবং উপকূলবর্তী এলাকায় বিধ্বংসী দাপট দেখাল উমপুন। সেইসঙ্গে অনেকের প্রাণও কাড়ল এই ঘূর্ণিঝড়।