রুপোলি দুনিয়া থেকে রাজনীতির ময়দান, ফিরে দেখা জয়ললিতার যাত্রাপথ
১৯৮৩ সালে এআইএডিএমকে’র প্রচারসচিব নিযুক্ত হন। ১৯৮৪ সালে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে সংসদে প্রবেশ। ১৯৮৯ পর্যন্ত সাংসদ।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App১৯৮২ সালে রাজনীতির জগতে প্রবেশ জয়ললিতার। এম জি রামচন্দ্রনের এআইএডিএমকে পার্টির সদস্যপদ গ্রহণ করেন তিনি।
২০০৩ সালে মাদ্রাজ হাইকোর্টে ক্লিনচিট পেয়ে নির্বাচনে জিতে আবার মুখ্যমন্ত্রী হন জয়ললিতা।২০১১ সালে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন জয়ললিতা।
১৯৯৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যান জয়া। ডিসেম্বরে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হন। প্রায় এক মাস কাটান জেলে।
১৯৮৯ সালে জয়ললিতা প্রথম বিধানসভায় নির্বাচিত হন। কিন্তু সরকার গড়তে পারেন না। সরকার গড়ে ডিএমকে। ফেব্রুয়ারিতে জয়ার নেতৃত্ব মেনে নিয়ে এআইএডিএমকে-এর দুই গোষ্ঠী এক হয়ে গেল।
তবে নেহরু-ইন্দিরা, কাঁসিরামের মায়াবতীর মতো জয়ললিতার রাজনীতিতে উত্থান এক ছকে হয়নি। বরং এমজিআর গোড়ায় জয়ললিতাকে মঞ্চে জায়গা দিলেও নেত্রী হিসেবে তাঁর আসল উত্থান দলের মধ্যে এমজিআর গোষ্ঠীর সঙ্গে বিবাদ-বিসংবাদের মাধ্যমেই হয়।
ছাত্রী হিসেবেও যথেষ্ট ঝকঝকে ছিলেন জয়ললিতা। পড়াশোনা করেছেন বেঙ্গালুরুর বিশপ কটন গার্লস স্কুলে। তবে চেন্নাই চলে আসার পর তিনি চার্চ পার্ক প্রজেন্টেশন কনভেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। ছবি সৌজন্যে এবিপি নিউজ
তবে তাঁর অভিনয় জীবন শীর্ষে পৌঁছয় যখন তিনি রুপোলি দুনিয়ার প্রবাদ প্রতিম শিল্পী এম.জি রামচন্দ্রনের সঙ্গে জুটি বেঁধে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেন।
রামচন্দ্রন-জয়ললিতার ছবি ‘আইরাথিল অরুভান’-এর সাফল্য (১৯৬৫) তাঁকে তামিলনাড়ুর অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
বিশ্বাস করা হয় রামচন্দ্রনই জয়ললিতাকে রাজনীতিতে এনেছিলেন।
যদিও পড়াশোনা নিয়েই থাকতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ভাগ্য তাঁকে টেনে আনল অভিনয়ের জগতে। ১৯৬৫ সালে তাঁর প্রথম তামিল ছবির নাম ‘ভেনিরা আদাই’। তারপর তিনি ১৪০টি তামিল, তেলেগু, কানাড়া এবং একটি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন ‘। ‘ইজ্জত’ নামের একটি হিন্দি ছবিতে ধর্মেন্দ্রর বিপরীতে অভিনয় করেন জয়ললিতা।
১৯৬১ সাল, শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ। ‘এপিস্টল’ নামে একটি ইংরেজি ছবিতে প্রথম শ্যুটিং শুরু করেন। এরপর কন্নড় ও হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেন। ছবি সৌজন্যে এবিপি নিউজ
এঁদের দুজনের জুটি রুপোলি পর্দায় কয়েকটি হিট জুটির অন্যতম ছিল। সকলেরই জানা তাঁদের অফস্ক্রিন সম্পর্কের কথাও। বলা যেতে পারে এরমাধ্যমেই সূচনা হয় রামচন্দ্রন-জয়ললিতার রঙিন সম্পর্ক এক অন্য অধ্যায়।
১৯৮৮ সালে এমজিআর-এর মৃত্যুর পরেই অবশ্য জয়ললিতা মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি। তামিলনাড়ুর ২১ দিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন জানকী। কেন্দ্র রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করায় সরকার ভেঙে যায়।
১৯৮৭ সাল নাগাদ এমজিআর-এর সঙ্গে জয়ার দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল। এই বছরেই এমজিআরের মৃত্যুর পরে পার্টি দু’ভাগ হয়ে যায়। একদল সমর্থক রামচন্দ্রনের স্ত্রী জানকীর সঙ্গে চলে যান, আর অন্য দলটি জয়ার সঙ্গে।
১৯৪৮, ২ ফেব্রুয়ারি, কর্নাটকের মান্ডিয়াম আয়েঙ্গার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কোমাভাল্লি জয়ললিতা। কিন্তু চিরকালই তিনি মায়ের পরিচয় বড় হয়েছেন এবং নিজেকে তামিল বলে পরিচয় দিয়েছেন সকলের কাছে। ১৯৫০ সালে মায়ের সঙ্গে চেন্নাই চলে আসেন জয়ললিতা। জয়ললিতার মা ভেদাভাল্লি ছিলেন তামিলনাড়ুর একজন জনপ্রিয় স্টেজ শিল্পী এবং ফিল্মের অভিনেত্রী। ছবি সৌজন্যে এবিপি নিউজ
২০০১ সালে এআইএডিএমকে আবার ক্ষমতায় আসে। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলার কারণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় নির্বাচনে লড়তে পারেন না জয়ললিতা। কিন্তু দলীয় বিধায়করা জয়াকেই মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করেন। শেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সরে দাঁড়াতে হয় তাঁকে।
১৯৯২ সালে পালিত পুত্র সুধাকরণের বিয়েতে প্রচুর টাকা খরচ করে বিতর্কের মুখে পড়েন। এছাড়াও আর্থিক বেনিয়মের বহু অভিযোগে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
১৯৯১, সালে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হন জয়ললিতা। ২৩৪টি আসনের মধ্যে ২২৫টি আসনে জয়ী হয় তাঁর দল।
২০১৪ সালে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় জয়ার চার বছরের জেল এবং ১০০ কোটির জরিমানা হয়। এক মাস জেলে কাটিয়ে জামিন পান তিনি।২০১৫ সালে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় জয়াকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়।
২০১৬ সালে আবার মুখ্যমন্ত্রী হন জয়া। ৩২ বছরে এই প্রথম পরপর দু’বারের জন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হন তামিলনাড়ুতে।
সেপ্টেম্বর, ২০১৬, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন জয়া।
ডিসেম্বর, ২০১৬:আলভিদা ‘আম্মা’।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -