তুষারের চাদরে ঢাকল জম্বু-কাশ্মীর, কার্গিলের তাপমাত্রা পৌঁছালো মাইনাস ১৫.৬ ডিগ্রিতে
৮. বিমান ও সড়কপথে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছে কাশ্মীরবাসী। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবনও।
বানিহাল, কাটরা সহ অন্যান্য অঞ্চলগুলিতেও তাপমাত্রা নেমেছে মাইনাসের নিচে।
সুত্রের খবর, শ্রীনগরের রাস্তায় জমেছে প্রায় ১০ ইঞ্চি পুরু বরফ। গুলমার্গের বিখ্যাত স্কি রিসর্টে ২ ফিট পুরু বরফ জমে রয়েছে। কুপওয়ারা ও পহেলগাঁও-এ রয়েছে ১৬ থেকে ১৭ ইঞ্চি পুরু বরফ।
অন্যদিকে পর্যটকরা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন এই তুষারপাত। একদিকে যেমন জোরকদমে চলছে বরফ নিয়ে খেলা, ঘোড়সওয়ারি, অন্যদিকে প্রকৃতির অবর্ণনীয় সৌন্দর্য্য মুগ্ধ করছে পর্যটকদের।
শ্রীনগরে রাস্তা থেকে বরফ সরানোর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছে প্রশাসন। রাজ্যের ভেতরের যান চলাচল বরফের কারণে ব্যাহত হয়েছে। শহর এবং গ্রামীণ এলাকা মিলিয়ে বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে জম্বু ও কাশ্মীরের বেশ কিছু অঞ্চল।
মেশিনের সাহায্য রাস্তা ও আন্ডারপাস থেকে নিয়ে দ্রুত সরিয়ে ফেলা হচ্ছে বরফ। কাজ শেষ হলেই আবার রাজ্যের ভেতরের যান চলাচল ও দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে যোগাযোগ করাও সুগম হবে এমনটাই আশা করা যাচ্ছে।
আগামী ২৪ ঘন্টায় আরও তুষারপাতের ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। এর ফলে সমস্যা হতে পারে বিমান ওঠা নামায়। দৃশ্যমানতার সমস্যা এবং পুরু বরফে রানওয়ে ঢেকে থাকার কারণে শনিবার সকাল পর্যন্ত কোনো বিমান শ্রীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওঠানামা করতে পারেনি।
টানা তুষারপাতে বরফের চাদরে মুড়েছে কাশ্মীর। আবহাওয়া বিভাগ সূত্রে খবর, শনিবার পর্যন্ত প্রায় ২৪ ঘন্টা টানা তুষারপাতের ফলে দেশের সমস্ত জায়গা থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়েছে কাশ্মীর। ছবিতে দেখা যাচ্ছে দুজন সেনা কর্মকর্তাকে যারা জমাট বরফে দাঁড়িয়ে তাদের কাজ করছেন।
শুক্রবার শ্রীনগরের তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গুলমার্গে মাইনাস ৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, লে তে মাইনাস 8 ডিগ্রি সেলসিয়াস ও কার্গিলের তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তুষারপাতের কারণে বন্ধ রয়েছে শ্রীনগর-জম্বু হাইওয়ে, মুঘল রোড, শ্রীনগর-লে হাইওয়ে। বন্ধ রয়েছে গুরাং এবং টাঙ্গাধর যাবার রাস্তাও। গুলমার্গ, শোনমার্গ, পির-পঞ্জল আর পহেলগাঁও-এর মতো উচুঁ পার্বত্য অঞ্চলও ঢাকা সাদা চাদরে।