সোনার গয়না নারীর শরীরের পক্ষে উপকারী, বলছে আয়ুর্বেদ, বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে
তবে যদি সোনার গয়না পরা উপকারী হয় তাহলেও বর্তমান সময়ের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ও দামের নিরিখে, গা ভর্তি সোনার গয়না পরা কার্যত অসম্ভব।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appতবে আয়ুর্বেদের এই দাবি নিয়ে বিজ্ঞানে মতভেদ রয়েছে।
আয়ুর্বেদ অনুযায়ী শরীরের সংস্পর্শে যদি গয়নার আকারে সোনাকে রাখা যায় তাহলে মহিলাদের শরীর তুলনামূলকভাবে অনেকটা নীরোগ থাকে।
চিকিত্সাশাস্ত্রে নারীকে পুরুষের তুলনায় শারীরিকভাবে দুর্বল মনে করা হয়। বলা হয়, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের হাড় দ্রুত ক্ষয় হয়ে যায়। সন্তান ধারণ ও সন্তান প্রসবের ফলে এই ক্ষয় আরও দ্রুত ঘটে। এই কারণেই আগেকার দিনে মহিলাদের মধ্যে সোনার গয়না পরার রীতি প্রচলিত ছিল।
শরীরের নানা অংশের উপকার করার সঙ্গে হাড়ের পক্ষে স্বর্ণভস্ম বিশেষ উপকারী বলে মনে করে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র। অলঙ্কার পরলে সোনার এই বিশেষ গুণই শরীরের পক্ষে উপকারী বলে আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ধাতুকে রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। বিশেষ প্রক্রিয়ায় ধাতুকে শোধন ও মারণের মাধ্যমে যে ধাতুভস্ম তৈরি হয়, তা শরীরের পক্ষে বিশেষ উপকারী। সমস্ত ধাতুর গুণ অবশ্য এক রকম নয়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে সোনাকে বিশেষ উপকারী বলে মনে করা হয়।
নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেক মানুষই অলঙ্কার পরতে ভালবাসেন। কিন্তু মহিলাদের মধ্যেই গয়না পরার প্রচলন বেশি। বিভিন্ন অলঙ্কারের মধ্যে মেয়েরা আবার সোনার গয়নাই বেশি পছন্দ করেন।
ভারতের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, প্রাচীন সময় থেকেই সোনার অলঙ্কার ভারতীয় মহিলাদের বিশেষ প্রিয়। সেটা শুধুমাত্র সোনা মূল্যবান ধাতু বলে নয়, আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বলছে এর অন্য কারণ রয়েছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -