নৈহাটিতে বাজেয়াপ্ত বাজি নিষ্ক্রিয়র সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, কেঁপে উঠল চুঁচুড়াও, দেখুন বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি
সবদিক খতিয়ে দেখার জন্য ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা শুক্রবার এলাকায় যাবেন।
চুঁচুড়াতেই গঙ্গার পাড়ে, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যয়ের স্মৃতি বিজড়িত বন্দেমাতরম ভবন। হেরিটেজ ভবনটিতেও বিস্ফোরণের তীব্রতায় জানালার কাচ ভেঙে যায়।
পুলিশের বাজেয়াপ্ত করা বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে জোরাল বিস্ফোরণ। বুকে কাঁপুনি ধরিয়ে দেওয়া বিস্ফোরণ।
পুলিশ সূত্রের খবর, নৈহাটির ছাইঘাটে গত কয়েকদিন ধরেই বাজেয়াপ্ত করা নিষিদ্ধ বাজি নিষ্ক্রিয় করার কাজ চলছিল।
বিস্ফোরণের পর নদীর দু’পারেই এলাকাবাসীর রাগ গিয়ে পড়ে পুলিশের ওপর!!! নৈহাটিতে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়ি!
পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে কাঁদানে গ্যসের শেল নিয়ে এলাকায় টহল দিতে শুরু করে পুলিশ বাহিনী।
সেখানে আচমকাই জোরাল বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার জেরে বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৩ জানুয়ারি নৈহাটির দেবকে বাজি কারখানার বিস্ফোরণে ৪ জন মারা যান। তখনও এলাকার পুলিশি নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
নৈহাটির ছাইঘাটে বিস্ফোরণ! আর তীব্রতা এতটাই, যে নদীর উল্টো পাড়ে কেঁপে উঠল হুগলির চুঁচুড়াও!!
ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বক্তব্য, সিআইডি আর পুলিশ একসঙ্গে বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজ করছিল।
বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটের দিকে নৈহাটির রামঘাটে বাজেয়াপ্ত করা বাজি নিষ্ক্রিয় করতে যায় সিআইডির বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড আর পুলিশ। আচমকাই তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা!
চুঁচুড়ার বিক্ষোভের মুখে পড়েন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার!!
সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়েই এবার বিপত্তি! যা ঘিরে প্রশ্নের মুখে পুলিশের পারদর্শীতা!!! চরম গাফিলতির অভিযোগ!!!
তখনই এলাকার মানুষ উত্তেজিত হয়ে ছুটে যায় পুলিশের দিকে। সিআইডি এবং পুলিশ কর্মীদের বেদম মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সরকারি গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
বিস্ফোরণের এমন তীব্রতা, তার প্রভাব পড়ল গঙ্গার দু’পাড়ে। জানালার কাচ ভাঙল! দরজার পাল্লা খুলে পড়ল! পুরনো বাড়ির দেওয়ালজুড়ে ফাটল!