অক্ষয় কুমারের সুপারস্টার হওয়ার পথ মোটেই মসৃন ছিল না, জানব তাঁর সম্পর্কে ২৫টি অজানা কথা
বর্তমানে বলিউড সুপারস্টার অক্ষয় কুমার খুবই চর্চায় রয়েছেন, কারণ তাঁর সাম্প্রতিক মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appজানা যায়, একসময় দীপক তিজোরির অটোগ্রাফ নিতে লোকে ছুটতেন, কিন্তু পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অক্ষয়ের দিকে কেউ ফিরেও তাকাতেন না।
এরপর টুইঙ্কল আসে তাঁর জীবনে। ১৭ জানুয়ারি, ২০০১ সালে বিয়ে হয়ে যায় তাঁদের। তবে সেই সম্পর্কেও অনেক ঘাত প্রতিঘাত এসেছে।
তবে এর কিছুদিন পরেই অক্ষয়ের নাম জড়ায় শিল্পা শেট্টির সঙ্গে। সেই সম্পর্কও ভেঙে যায়।
শোনা যায় রবিনা-অক্ষয়ের সাগাই পর্যন্ত হয়ে গিয়েছিল। এমনকি অক্ষয়ের জন্যে নিজের কেরিয়ার পর্যন্ত ছাড়তে রাজি হয়ে যান তিনি। কিন্তু সেখানেও এক তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশে ভেঙে যায় সেই সম্পর্কও। সেসময় রেখার সঙ্গে অক্ষয়ের নাম জড়িয়ে যায়।
এবার আসা যাক অক্ষয়ের জীবনে প্রেমের কথায়। তিনি প্রথম প্রেমে পড়েছিলেন পূজা বাত্রার। তবে মোহরা মস্ত মস্ত রবিনাকে দেখার পর তাঁর পূজাকে ভুলতে মিনিট খানেকও লাগেনি।
অক্ষয়ের প্রথম ছবি মুক্তির পর পুরো পরিবার তাঁর ছবি দেখতে গিয়েছিলেন। শোনা যায় মডেলিংয়ের সময় একটি বাংলোর সামনে দাঁড়িয়ে একদিন শ্যুট করছিলেন অক্ষয়। সেই বাংলোর দাড়য়োনা এসে তাঁকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেন। পরে শোনা যায় ওই বাংলোটিই কিনে নেন অক্ষয়।
কাজের খোঁজে থাকা অক্ষয় পেয়ে যান মডেলিংয়ের অ্যাসাইনমেন্ট। তারপর আস্তে আস্তে অক্ষয় পেতে থাকেন বিভিন্ন ছবির অফার
গোবিন্দার থেকে এই কথা শোনার পরই যেন ভাগ্য খুলে যায় অক্ষয়ের
এরপর একদিন গোবিন্দার সঙ্গে দেখা করতে যান অক্ষয়। তিনি অক্ষয়কে বলেন, তুমি ছবিতে হিরো হওয়ার চেষ্টা কেন করছো না।
আসলে মূল লক্ষ্য ছিল পয়সা না দিয়ে ওনার সাহায্যে নিজের পোর্টফোলিও বানিয়ে নেওয়া
মডেলিংয়ে কাজ করার পরও ভাল কোনও ছবিতে সুযোগ পাননি অক্ষয়। তখন তিনি ফটোগ্রাফার জয়েশ শেঠের সহকারী হিসেবে কাজ করা শুরু করেন।
প্রসঙ্গত, যে ছবি দিয়ে অক্ষয় প্রথম ব্রেক পান সেখানে তিনি নায়িকার ট্রেনরের ভূমিকায় ছিলেন। ওই ছবিতেই হিরোর নাম ছিল অক্ষয়। সেই থেকেই অক্ষয় নিজের নাম বদলে রাজীবের বদলে অক্ষয় করে নেন।
তারপর মুম্বই এসে বাচ্চাদের মার্শাল আর্ট শেখানো শুরু করেন। এখানে এসে কিছু বিজ্ঞাপনেও কাজ করা শুরু করেন তিনি। তবে বিজ্ঞাপন বড় হলেও, অক্ষয়ের ভূমিকা সেখানে খুবই ছোট হত
ব্যাঙ্ককেই অক্ষয় মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ নেন। তবে সেই সময় পয়সার প্রয়োজনে ব্যাঙ্ককের একটি রেঁস্তোরায় ওয়েটরের কাজ শুরু করেন।
অক্ষয় ব্রুস লির ভক্ত ছিলেন। অভিনেতা জীবনের শুরুতে মার্শাল আর্ট শিখতেন এবং শেখাতে চেয়েছিলেন। বাবার কাছে নিজের এই ইচ্ছের কথা জানালে, তাঁর বাবা কিছু টাকা ধার করে তাঁকে ব্যাঙ্কক পাঠিয়ে দেন।
৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬৭ সালে জন্ম অক্ষয় কুমারের। আসল নাম রাজীব হরিওম ভাটিয়া। দিল্লির চাঁদনি চকে ছোটবেলা কেটেছে। তারপর মুম্বইয়ে এসে ডন বস্কো স্কুল এবং গুরুনানক খালসা কলেজ থেকে পরবর্তী পড়োশোনা। খুব কঠিন ভাবে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় পাস করেছিলেন অক্ষয়। তবে সেই নিয়ে সুপারস্টারের তেমন দুঃখ নেই
এয়ারলিফ্ট, রুস্তম, বেবি, জলি এলএলবি-টুর মতো অন্য ঘরানার ছবি করেন এখন অক্ষয়।
ইদানিং, শাহরুখ খান-সলমন খানের ছবি এলেও, অক্ষয় কুমারের ছবির আলাদা দর্শক তৈরি হয়ে গেছে। প্রসঙ্গত, টয়লেট এক প্রেম কথার ঠিক এক সপ্তাহ আগে মুক্তি পায় শাহরুখের ছবি জব হ্যারি মেট সেজল। কিন্তু সেই ছবি ফ্লপ হলেও, অক্ষয়ের ছবি কিন্তু হিট।
এই ছবির ট্রেলর দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ নরেন্দ্র মোদীও। তাঁর স্বচ্ছতা অভিযানের প্রচারে এই ছবির ভূমিকা অনস্বীকার্য
এই প্রথম কোনও বলিউড সুপারস্টার টয়লেট নামকরণে হওয়া কোনও ছবিতে অভিনয় করলেন। এবছরই তাঁকে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে। তবে আজকে যেখানে পৌঁছেছেন তিনি সেই পথটা মোটেই মসৃন ছিল না। জানব তাঁর সম্পর্কেই কিছু অজানা কথা
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -