অভিনেত্রী টিনা মুনিম- শিল্পপতি অনিল অম্বানির প্রেম কোন পথে কীভাবে এগিয়ে ছিল জানেন?
টিনার চেয়ে তিন বছরের ছোট অনিল হলেন, বিশিষ্ট শিল্পপতি ধীরুভাই অম্বানির ছোট ছেলে। বিয়ের আসরে দেখা হওয়ার মাস খানেক পর ফিলাডেলফিয়াতে ফের দেখা হয় দুজনের। সেসময় রাজেশের সঙ্গে সম্পর্কও ছিল টিনার। তারপর ফের এক আত্মীয়ের মাধ্যমে তাঁদের দুজনের দেখা হয়।অনিলের সাদাসিধে স্বভাবই টিনাকে তাঁর দিকে আকর্ষিত করে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএরপর ঐতিহ্য মেনে দুজনের বিয়ে হয় ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।
অবশেষে লস অ্যাঞ্জেলসে এক ভূমিকম্পের পর ফের দুজনের কথাবার্তা শুরু হয়। আর এই দীর্ঘ চার বছরে অন্য কোনও মেয়েকে বিয়ে না করে, অনিল বোঝাতে শুরু করেন তাঁর বাবা-মাকে, টিনাই তাঁর ভালবাসা, তাঁর সবকিছু।
গ্ল্যামার দুনিয়া থেকে অনেক দূরে, সাধারণ জীবনযাপন শুরু করেন টিনা। নিজের দুই ছেলেকেও একদম সাধারণ ভাবে মানুষ করেন তিনি।
দুজনেই বুঝতে পারেন, এই সম্পর্ক বিয়ে অবধি যাবে। যদিও আচমকা চার মাস প্রেমের পর অনিলের পরিবার থেকে এই সম্পর্ক মেনে নেয় না। দুজনের ছাড়াছাড়ি হয় যায়। টিনা লস অ্যাঞ্জেলস চলে যায়। দুজনের কথাবার্তাও বন্ধ হয়ে যায়।
সকলের চেয়ে আলাদা ছিলেন বলেই, সেদিন টিনা এক গুজরাতি ব্যবসায়ীয়ের ছেলের নজরে পড়ে যান। সেই তরুণ ব্যক্তি হলেন অনিল ধীরুভাই অম্বানি। সেই ব্যক্তিই টিনার জীবন সম্পূর্ণ বদলে দেন।
এরপর একদিন এক গুজরাতি বিয়ের আসরে যান টিনা। সেখানে অন্যরা লাল এবং সোনা মোড়া থাকলেও, টিনা পরেন কালো শাড়ি, মেকআপ ছিল সামান্য
রাজেশ খন্নার সঙ্গে মোট ১১টি ছবিতে কাজ করেছেন টিনা। শুধু অনস্ক্রিন নয়, অফস্ক্রিনেও তাঁদের কেমিস্ট্রি ছিল জমজমাট। যদিও এই সম্পর্ককে কোনও দিনই সামাজিক স্বীকৃতি দেননি রাজেশ খন্না। সেই সময় রাজেশ খন্নার সঙ্গে লিভ-ইন করেন টিনা।
কারণ, টিনা, সঞ্জয়ের বান্ধবী হতে চেয়েছিলেন। যদিও সঞ্জয়ের জীবনে তখন মদ, মাদক এবং একাধিক নারীর উপস্থিতি ছিল। তাই এই সম্পর্কও টেকেনি।
সেসময় দেব আনন্দের ক্যাম্প ছেড়ে বেরিয়ে আসেন টিনা। তারপর আরও দুটি ছবির অফার ছাড়েন, যেটা পরে বক্স অফিসে বড় হিট হয়েছিল। তারমধ্যে রয়েছে রাজেন্দ্র কুমারের লভ স্টোরি, কুমার গৌরবের বিপরীতে এবং অপরটি ‘এক দুজে কে লিয়ে’।
এরপর দেব আনন্দের বিপরীতে ‘লুটমার’ এবং ‘মন পসন্দ’ ছবিতে কাজ করেন টিনা। এই সময় টিনার সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ১৯৮১ সালে ‘রকি’ ছবিতে সঞ্জয়ের বিপরীতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান টিনা।
ফর্সা, সুন্দরী এবং ছিপছিপে চেহারার টিনাকে ১৯৭৫ সালে ফেমিনা টিন প্রিন্সেসের শিরোপা দেওয়া হয়। এছাড়া ১৯৭৮ সালে আন্তর্জাতিক টিন প্রতিযোগিতায় ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন টিনা। সেখানেই সেকেন্ড রানারস আপ হয়ে, মিস ফটোজেনিক এবং মিস বিকিনির শিরোপা জেতেন টিনা। একটি মাজনের বিজ্ঞাপনের পর ছবির প্রযোজক, পরিচালক এবং অভিনেতা দেব আনন্দের নজরে আসেন টিনা। ১৯৭৮ সালে ‘দেশ পরদেশ’ ছবিতে নায়িকার চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান
গুজরাতের জৈন পরিবারের মেয়ে টিনা মুনিম। ৯ বোন, ১ ভাইয়ের সংসারে সবচেয়ে ছোট মেয়ে টিনা, জন্মান ১৯৫৫ সালে। মুম্বইয়ের ভুলেশ্বরে থাকত টিনার পরিবার। সেই সময় টিনার নাম ছিল নিভরুত্তি মুনিম। বড় বোন ভাবনার মডেলিং কেরিয়ার দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে, মডেলিং দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হন নিভরুতি, নাম হয় টিনা মুনিম।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -