প্রথাগত ভাবনা ভেঙে মিস ইউনিভার্সের মুকুট ছিনিয়ে নিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার জোজিবিনি টুনজি
মিস ইউনিভার্সের খেতাব জেতার পর জোজিবিনি বলেন, ‘‘ আমি এমন একটা দুনিয়ায় বড় হয়েছি, যেখানে আমার মতো দেখতে মহিলা, আমার মতো গায়ের রঙ, আমার মতো চুলের ধরণ যাঁদের, তাঁদের কখনও সুন্দর ভাবা হয় না। সময় এসেছে এই বৈষম্য বন্ধ করার। আমি চাই শিশুরা আমার মুখের দিকে তাকাও । তোমরা নিজেদের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাবে আমার মধ্যে। ’’
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appমিস ইউনিভার্সের সেই তাজ
দক্ষিণ আফ্রিকার সোলোর বাসিন্দা জোজিবিনি। সুন্দরী প্রতিযোগিতার মঞ্চেরও আগে দুনিয়া তাঁকে চিনেছে লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে তাঁর জোরদার লড়াইয়ের জন্য।
মিস ইউনিভার্সের তাজ তখন জোজিবিনি-র দখলে। উচ্ছাসে ফেটে পড়েছেন প্রতিযোগীরাও।
সব আলোর মধ্যমণি তখন একজনই। লক্ষ লক্ষ ফ্ল্যাশ ঝলসে উঠছে তাঁরই দিকে।
চোখের জল সামলাতে পারেন নি জোজিবিনি।
মিস ইউনিভার্স ২০১৯ হিসাবে জোজিবিনি টুনজির নাম ঘোষণা হওয়ামাত্র প্রেক্ষাগৃহ ফেটে পড়ে হাততালিতে।
সোনালী রুপোলী পোশাকে আত্মবিশ্বাসী জোজিবিনি টুনজি। বাহ্যিক সৌন্দর্য্য নয়, প্রাকৃতিক ও ব্যক্তিত্ত্বের সৌন্দর্য্যই যেন তাঁর জয়ের মূলমন্ত্র
আটলান্টায় আয়োজিত হয়েছিল মিস ইউনিভার্স ২০১৯-এর প্রতিযোগীতা। ৯০ জন প্রতিযোগীদের মধ্যে যিনি ঝলমল করে ওঠেন, তিনিই জোজিবিনি। ২৬ বছরের এই তরুণী তৈরী করেন এক নতুন অনুপ্রেরণা।
পুয়ের্তো রিকো ও মেক্সিকো সুন্দরীদের হেলায় হারিয়ে মিস ইউনিভার্সের খেতাব ছিনিয়ে নিলেন জোজিবিনি। দীর্ঘদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিঙ্গভিত্তিক হিংসার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরী করার চেষ্টা করছেন জোজিবিনি।
বিশ্বসুন্দরী কথাটার মধ্যেই রয়েছে ‘সুন্দরী’ শব্দটি। অর্থাৎ বিশ্বসুন্দরী হতে গেলে প্রথাগত সুন্দরী হতেই হবে এই ভাবনা বোধহয় মানুষের মজ্জাগত। কিন্তু এই তথাকথিত ভাবনার সঙ্গে টক্কর দিয়েই ২০১৯ সালে মিস ইউনিভার্সের মুকুট ছিনিয়ে নিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার জোজিবিনি টুনজি।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -