সন্তানকে ধর্ষণের পর খুন প্রেমিকের, ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা মায়ের
এরপর তারা একটি নালায় দেহ ফেলে দেয়। পরে ওই শিশুর দেহ উদ্ধার হলে তদন্তে নেমে পুলিশ আরতি ও গঙ্গারামের ঘৃন্য ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পারে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিন্তু এতেও বিপদ আছে বুঝতে পেরে তারা নদীর জলে ফেলে দিয়ে ওই শিশুর দেহ গায়েব করার চেষ্টা করে। এজন্য মোটর সাইকেলে করে ওই শিশুর দেহ নর্মদা নদীর একটি সেতুতে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে লোকজন থাকায় উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি।
ওই মহিলার নাম আরতি। তার প্রেমিকের নাম গঙ্গারাম। আরতি বিবাহিতা। তার ছয় বছরের এক সন্তানও ছিল। কিন্তু গঙ্গারামের সঙ্গে প্রেমের পর মেয়েকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি ছাড়ে আরতি। এসে ওঠে গঙ্গারামের কাছে। কিন্তু গঙ্গারামের কুনজর থেকে বাদ যায়নি আরতির মেয়েও। ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে সে। এরপর আরতি ও গঙ্গারাম ওই শিশুর দেহ জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়ে প্রমাণের চেষ্টা করে যে, জলে পড়ে গিয়ে এই মৃত্যু হয়েছে।
ওই মহিলার ছয় বছরের কন্যাসন্তানকে ধর্ষণ করে তার প্রেমিক। কিন্তু সে চিত্কার-চেঁচামেচি শুরু করলে তার মায়ের প্রেমিক তাকে খুন করে।
মাতৃস্নেহের কোনও বিকল্প হয় না। কিন্তু এ কেমন মা! নিজের সন্তানের মৃত্যুর খবর শুনেও বিকার নেই। বরং সন্তানের মৃত্যুকে দুর্ঘটনা প্রতিপন্ন করতে উঠে পড়ে লাগলেন। আসলে এই মহিলার কাছে সন্তানের থেকেও প্রিয় তার আত্মসুখ। নিজের সন্তানের থেকেও তার কাছে বেশি আকর্ষণ তাঁর প্রেমিকের। আর এজন্যই প্রেমিকের নৃশংসতা ঢাকতে নিজের কন্যার খুনের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হল। কিন্তু পুলিশের তদন্তে ওই মহিলা ও তার প্রেমিকের ঘৃন্য কার্যকলাপ ফাঁস হয়ে গেল। এখন তো দুজনেই অপরাধের কথা কবুল করেছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -