জাতীয় যুবদিবসের অনুষ্ঠানে বেলুড় মঠে মোদি, করলেন মন্ত্রপাঠ, জলপথে গেলেন বন্দরের অনুষ্ঠানে, দেখুন ছবি
বেলুড় মঠে গিয়ে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী শরণানন্দের আর্শীবার্দ নেন প্রধানমন্ত্রী।
যুব দিবসে বেলুড় মঠের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখে নাগরিকত্ব আইন। তাঁর অভিযোগ, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভুল ধারণা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক তরুণ ভুল ধারণায় প্রভাবিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, তরুণদের ঠিকমতো বোঝানো আমাদেরই দায়িত্ব। পাশাপাশি তাঁর যুক্তি, সরকার রাতারাতি নাগরিকত্ব আইন বানায়নি। প্রতিবেশী দেশের সংখ্যালঘু নাগরিকদের জন্য এই আইন। বেলুড়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী ফের আশ্বাস দেন, নাগরিকত্ব আইনে কারও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে না। তাঁর কটাক্ষ, মানুষ ঝলেও, রাজনীতির কারবারিরা তা বুঝতে পারছেন না।
ভাষণের আগে মন্ত্রপাঠের সময় মঞ্চে মোদি।
শনিবার কলকাতার মাটি ছোঁয়ার আগে বাংলায় ট্যুইট করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘তবুও, একটা শূন্যতা থাকবে! যিনি আমাকে ‘জন সেবাই প্রভু সেবা’র মহৎ নীতিটি শিখিয়েছিলেন, সেই শ্রদ্ধেয় স্বামী আত্মস্থানন্দজি এখন আর নেই। রামকৃষ্ণ মিশনে গিয়ে তাঁর পবিত্র সান্নিধ্য না পাওয়াটা অকল্পনীয়!’
২০১৩-সালেও বেলুড় মঠে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি৷ দেখা করেছিলেন স্বামী আত্মস্থানন্দজির সঙ্গে৷ তাঁর পায়ের কাছে বসে অনেকক্ষণ কথাও বলেছিলেন৷ স্বামী বিবেকানন্দর ঘরে ঢুকে একান্তে ধ্যান করেছিলেন মোদি৷
বেলুড় মঠের অতিথি নিবাস থেকে গলফ কার্টে করে স্বামীজির ঘরে যান প্রধানমন্ত্রী।
স্বামীজিদের সঙ্গে সেলফি মোদির।
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কলকাতা বন্দরের সার্ধ শতবর্ষ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন তিনি।
অনুষ্ঠান শেষে বার্জে করে মিলেনিয়াম পার্কের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন মোদি
মন্ত্রপাঠ, পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে জলপথে মিলেনিয়াম পার্কের দিকে রওনা হন তিনি।
বেলুড় মঠ চত্বরে ভ্রমণ করেন মোদি
স্বামী বিবেকানন্দর জন্মদিন উপলক্ষ্যে মঠে বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
দু দিনের সফরে কলকাতায় নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম বেলুড় মঠে রাত্রিবাস করলেন নরেন্দ্র মোদি। থাকলেন মন্দির সংলগ্ন ইন্টারন্যাশনাল গেস্টহাউসের দো-তলার ঘরে।