হারিয়ে গেছে ‘সন্তান’ বিক্রম, ইসরো চেয়ারম্যানের কান্না, সান্ত্বনা প্রধানমন্ত্রীর
চন্দ্রযান ২ ঠিকমতই কাজ করছে, পাক খাচ্ছে চাঁদের চারপাশে। যদি বিক্রম আর কাজ না-ও করে, তাহলেও চন্দ্রযান ২ মিশন ব্যর্থ নয় কার্যত।
যদিও বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, মিশন ব্যর্থ নয়। ল্যান্ডারের সঙ্গে ফের সংযোগ তৈরি সম্ভব।
রাফ ব্রেকিং ও ফাইন ব্রেকিং পর্ব সাফল্যের সঙ্গে শেষ করে বিক্রম। সফট ল্যান্ডিংয়ের ঠিক আগে পৃথিবীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয় তার।
কাল রাত ১টা ৩৮ নাগাদ শুরু হয় ল্যান্ডার বিক্রমের চাঁদে অবতরণের প্রক্রিয়া। কিন্তু নীচে নামতে নামতে, চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ২.১ কিলোমিটার ওপরে বিক্রমের সঙ্গে ইসরোর সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ইসরোর বিজ্ঞানীরা এখনও খুঁজে চলেছেন বিক্রমকে। বিশ্লেষণ চলছে হাতে আসা তথ্যের খুঁটিনাটি।
তিনি টুইট করেও বলেন, এখন মনোবল ধরে রাখার সময় আর আমরা তাই করব। মহাকাশ গবেষণা নিয়ে আমাদের পরিশ্রম চলবে।
তিনি বলেন, যা করেছেন তা কোনওদিকেই কম নয়। নিজের দেশ, বিজ্ঞান ও মানবজাতির বিরাট সেবা করেছেন। জীবনে চড়াই উতরাই থাকে, আশা হারাতে নেই কখনও। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি, দেশের সেবা করার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রধানমন্ত্রীকে দেখে প্রকাশ্যেই ভেঙে পড়েন তিনি। তাঁকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
ইসরোর প্রত্যেক বৈজ্ঞানিকের সঙ্গে আলাদা করে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী। যখন তিনি ফিরে যাওয়ার জন্য নিজের গাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন তখন বেরিয়ে আসেন ইসরো চেয়ারম্যান।
চাঁদের পিঠ থেকে মাত্র ২.১ কিলোমিটার দূরে নিখোঁজ হয়েছে বিক্রম। ইসরো অফিসে এখন শ্মশানের নিস্তব্ধতা। ভারতের চাঁদে অবতরণের ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে গত রাতে সেখানে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভেঙে পড়া ইসরো চেয়ারম্যানকে সান্ত্বনা দেন তিনি।