কেদারনাথে প্রার্থনা, হরশিলে জওয়ানদের মিষ্টি বিলিয়ে দীপাবলি পালন মোদির
কেদারনাথ যাওয়ার আগে, তিনি উত্তরাখণ্ডের হরশিলে থামেন। সেখানে সেনাবাহিনী ও ইন্দো-তিব্বতীয় সীমান্ত পুলিশের (আইটিবিপি) জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করেন প্রধানমন্ত্রী।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appখবর অনুযায়ী, এই সফরে পাঁচটি প্রকল্পের কাজের পর্যালোচনা করেন। এই প্রকল্পগুলি হল-- কেদারনাথ মন্দিরগামী পথ প্রসস্থ করা। মন্দাকিনী ও সরস্বতী নদীর তীরে ঘাট নির্মাণ। পুরোহিতদের জন্য গৃহ নির্মাণ এবং আদি শঙ্করের ‘সমাধিস্থল’ নির্মাণ।
প্রার্থনার পাশাপাশি, মন্দিরের পুনর্নির্মাণের কাজের অগ্রগতিও খতিয়ে দেখেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের বন্যায় মন্দির চত্বরের আশেপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তাঁর সফরের লক্ষ্য ছিল, প্রার্থনা দেওয়া এবং মন্দিরের পুনর্নির্মাণের কাজ পর্যবেক্ষণ করা।
প্রধানমন্ত্রী হিসেব এই নিয়ে তৃতীয়বার কেদারনাথ দর্শন করলেন নরেন্দ্র মোদি
বুধবার, সকাল ১০টা নাগাদ তিনি পৌঁছন। সেই সময় সেখানকার তাপমাত্রা ছিল শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দীপাবলি উপলক্ষ্যে কেদারনাথ মন্দির দর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী সারা বিশ্বের, রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা অভিযানে সম্মান, সম্ভ্রম পায় বলেও জানান মোদি। জওয়ানদের মিষ্টি দেন, আশপাশের এলাকার লোকজনের সঙ্গেও কথা বলেন, যাঁরা তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন।
জওয়ানদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আগে তিনি এদিন বলেন, আরএসএসের সদস্য হিসাবে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে থাকার সৌভাগ্য হয়েছে। সেসময় এক পদ, এক পেনশন নিয়ে অনেক কথা শুনেছি। তারপর অনেক সরকার এসেছে, গিয়েছে। হৃদয়ের যোগ রয়েছে বলে আপনাদের আবেগ, বাসনা আমি উপলব্ধি করতে পারি। তাই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সেই এক পদ, এক পেনশনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করা আমার দায়িত্ব হয়ে পড়ে।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে তিনি দেওয়ালিতে সেনা জওয়ানদের কাছে যাচ্ছেন, সে কথা স্মরণ করেন তিনি। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সামনের দিকে ভারত বড় পদক্ষেপ করছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকার প্রাক্তন সেনাকর্মীদের স্বার্থে এক পদ, এক পেনশন নীতি রূপায়ণ সমেত কী কী করেছে, উল্লেখও করেন।
প্রধানমন্ত্রী জওয়ানদের প্রশংসা করে এ-ও বলেন, দেওয়ালি আলোর উৎসব, ভীতি-আতঙ্ক কাটিয়ে মঙ্গলের আলো ছড়ায়। জওয়ানরাও নিজেদের দায়বদ্ধতা, শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে দেশবাসীর মনে নির্ভরতা, ভীতিহীনতার অনুভূতি ছড়িয়ে দেন।
এদিন ভারত-চিন সীমান্তের কাছে সীমান্ত পাহারা দেওয়া জওয়ানদের সঙ্গে দেওয়ালির শুভেচ্ছা বিনিময় করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যন্ত, দুর্গম বরফে ঢাকা পাহাড়ে ওঁরা যেভাবে নিষ্ঠাভারে দায়িত্ব, কর্তব্য পালন করে যাচ্ছেন, তা গোটা দেশকে আরও শক্তি দেয়, ১২৫ কোটি ভারতীয়ের স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -