দেখে নিন: শুক্রবার যানজটে হাঁসফাঁস করা গুরগাঁওয়ের ১১টি ছবি
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় গুরগাঁওয়ের হোন্ডা চক থেকে জ্যাম শুরু হয়। গুরগাঁও থেকে দিল্লির রাস্তা এনএইচ ৮ খোলা হয় ঠিকই কিন্তু যানজট তাতে কমেনি। হরিয়ানা রোডওয়েজের বাস খারাপ হওয়ায় এই যানজট বলে জানা গেছে।
জবাব দিতে দেরি করেনি আপও। দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিশোদিয়া বলেছেন, গুরগাঁওয়ের নাম বদলে গুরুগ্রাম করলেই বিকাশ হয় না। সে জন্য সদিচ্ছা প্রয়োজন।
যাবতীয় দায় ঝেড়ে ফেলে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টারের অভিযোগ, দিল্লির আপ সরকারের অসহযোগিতার জন্যই এই যানজট। এ জন্য তিনি দায়ী করেছেন কেজরীবালকে।
প্রচণ্ড যানজটে শুক্রবার গুরগাঁওয়ের সব স্কুল তো বন্ধ ছিলই। শনিবারও বন্ধ রাখা হয়েছে যাবতীয় স্কুল।
যানজট খুলতে নাজেহাল পুলিশ মানুষকে অনুরোধ করেছে গুরগাঁও না আসতে। বিশেষ করে এই অনুরোধ তাঁদের, যাঁদের দিল্লি থেকে গুরগাঁও আসার কথা।
পথের জট খোলার অপেক্ষা করতে করতে ক্ষিদে, তেষ্টা আর ক্লান্তিতে নাজেহাল হয়ে পড়েন সকলে। সারা রাত রাস্তায় কাটাতে বাধ্য হয়েছেন এমন অনেকে আছেন। নাইট শিফট যাঁদের ছিল, তাঁরা অফিসে পৌঁছতে পারেননি। ইভনিং শিফট সেরে যাঁদের বাড়ি ফেরার কথা ছিল, রাস্তায় রাত কাটান তাঁরা।
যানজট রুখতে কড়া হয় পুলিশ। ডিসিপি জানান, যারা এই জ্যামের জন্য দায়ী, তাদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।
যানজট ছাড়াতে প্রশাসনের বৈঠক হয়, নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব।
জ্যাম মূলত ছিল হোন্ডা চক এলাকায়। পুরোপুরি আটকে যায় জয়পুর রোড, সোহনা রোডও।
যানজটে পুরোপুরি স্তব্ধ দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ে।
গুরগাঁওয়ের সেই ভয়াবহ জ্যাম। ২৫ কিলোমিটার ধরে যানজট, চলল টানা ১৯ ঘণ্টা। সাধারণ মানুষকে আবেদন জানানো হয়েছে, তাঁরা যেন দিল্লি থেকে গুরগাঁওয়ের দিকে না আসেন। প্রচণ্ড বর্ষা ও যানজটের জন্য বন্ধ রাখা হয় স্কুল। আসুন, জেনে নিই, এই জ্যামের ১১টি আপডেট।