এখন বাড়িতে বসেই সম্ভব প্যান কার্ডের তথ্য-সংশোধন, কীভাবে? জেনে নিন...
কিছুদিনের মধ্যেই নতুন সঠিক প্যান কার্ড আপনার ঠিকানায় চলে আসবে। আপনার দেওয়া মোবাইল নম্বর বা ইমেলে সেই কনফার্মেশন চলে আসবে।
পেমেন্ট সফল হলে, আপনার কাছে অ্যাকনলেজমেন্ট আসবে। তার দু কপি প্রিন্টআউট বের কর নিন। একটির ওপর আপনার স্বাক্ষরিত ২টি পাসপোর্ট ছবি লাগিয়ে এনএসডিএল ই-গভ-এ দেওয়া ঠিকানায় ১৫ দিনের মধ্যে ডাকে পাঠিয়ে দিন।
পেমেন্টের আগে, জেনে নিন। আপনার ঠিকানা ভারতের হলে ১০০ টাকা এবং বিদেশ হলে ১০২০ টাকা প্রোসেসিং ফি লাগবে। ডেবিট, ক্রেডিট বা নেটব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারেন।
শেষ ধাপে, আপনাকে গোটা প্রক্রিয়ার প্রিভিউ দেখানো হবে। ভাল করে তা আপনাকে তা দেখতে হবে। সেখানে কোনও ভুল থাকলে, অবশ্যই ফের তা সঙ্গে সঙ্গে সংশোধন করে নিন। তথ্য ঠিক হলে, অনলাইনে পেমেন্ট করে দিন।
টোকেন নম্বর আসার পর, আপনার কাছ থেকে আধার তথ্য সহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ও তথ্য চাওয়া হবে। এরসঙ্গেই, আপনার জন্মতারিখ, ঠিকানা, ছবিও চাওয়া হবে। নির্দিষ্ট জায়গায় সেগুলি দিন।
এরপর আপনার থেকে যা যা তথ্য চাওয়া হবে, তা নির্দিষ্ট বক্সে ভরতে হবে। আবেদনপত্র সম্পূর্ণ করার পর সাবমিট করতে হবে। এখান থেকে আপনার আবেদনের প্রেক্ষিতে একটি টোকেন নম্বর দেওয়া হবে।
এর জন্য সবার প্রথমে আপনাকে onlineservices.nsdl.com ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে আবেদনের ধরনের জায়গায় গিয়ে প্যান কার্ড সংশোধন বিকল্প বাছতে হবে। সেখানে জানাতে হবে, প্যান কার্ডের ধরন কী। অর্থাৎ, তা ব্যক্তিগত না সংস্থার না ব্যবসায়িক।
দেশে ডিজিটাইজেশনের ফলে, সব কাজ সহজ হয়ে গিয়েছে। এখন ঘরে বসেই প্যান কার্ডের আবেদন করা থেকে শুরু করে যে কোনও ভুল তথ্যের সংশোধন করতে পারবেন।
অনেক সময় দেখা গিয়েছে, প্যান কার্ডের তথ্যে ভুলভ্রান্তি রয়েছে। অথবা, প্যান কার্ড হারিয়ে গিয়েছে। তবে, এধরনের ঘটনা ঘটলে এখন আপনাকে উদ্বিগ্ন হওয়ার বা দৌড়াদৌড়ি করার প্রয়োজন নেই।
পার্মানেন্ট অ্যাকাউন্ট নাম্বার (প্যান) কার্ড সকলের জন্যই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ নথি। শুধুমাত্র আয়কর জমা করাই নয়, এটি একটি বৈধ পরিচয়পত্রও বটে। ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ড জমা-- সর্বত্র এই কার্ড প্রয়োজন।