মোদী সরকারের আমলে দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষই সুখী, বলছে সমীক্ষা
৬১ শতাংশ মানুষের মতে দেশে দুর্নীতি কমেছে। উল্টো মত ৩২ শতাংশ মানুষের।
৩৮ শতাংশ মানুষের মতে, মহিলা ও শিশুদের উপর সংঘটিত অপরাধ কমেছে। যদিও ৪৪ শতাংশ মানুষ সেটা মনে করেন না। মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষ তাঁদের সাংসদকে দরকারের সময় পাশে পান বলে জানিয়েছেন। সেখানে ৬৬ শতাংশ মানুষই সাংসদকে পাশে পান না। ৬৭ শতাংশ মানুষের মতে, শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়েছে। ২৮ শতাংশ মানুষ অবশ্য এক্ষেত্রে কোনও বদল দেখছেন না।
৩৫ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, দেশে বেকারত্বের হার কমেছে। তবে এক্ষেত্রে বিরোধী মত ৪৩ শতাংশের। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হয়েছে বলে মনে করছেন ৫৫ শতাংশ মানুষ। ৩৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন, জিনিসপত্রের দাম কমেছে।
৬১ শতাংশ নাগরিক জিএসটি-কে সমর্থন করেছেন। ৩০ শতাংশ মানুষ আবার এই করের বিরোধী। ৭২ শতাংশ মানুষের মতে, এই দু বছরে পরিকাঠামোর উন্নতি হয়েছে। ২০ শতাংশ মানুষ দ্বিমত পোষণ করেছেন।
‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পকে মোদী সরকারের সবচেয়ে ইতিবাচক উদ্যোগ বলে মনে করছেন অধিকাংশ মানুষ। ৭৬ শতাংশ নাগরিক মনে করছেন, ভারতে তাঁদের পরিবারের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। আগামী তিন বছরে আরও বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান চাইছেন অধিকাংশ মানুষ।
প্রায় এক মাস ধরে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অংশের মানুষ এবং অনাবাসীরাও এই সমীক্ষায় যোগ দেন।
৭২ শতাংশ নাগরিক মনে করছেন, সন্ত্রাসবাদ কমেছে। ২১ শতাংশ মানুষ অবশ্য এর সঙ্গে একমত নন। ৩৪ শতাংশ মানুষের মতে, মোদী সরকারের আমলে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উন্নত হয়েছে। তবে ৫১ শতাংশ মানুষ কোনও উন্নতি দেখছেন না।
‘লোকাল সার্কেলস’ নামে একটি সংগঠন এই সমীক্ষা চালিয়েছে। সেই সমীক্ষাতেই জানা গিয়েছে, দেশের দুই-তৃতীয়াংশ নাগরিক নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের দু বছরের কাজে মোটের উপর খুশি।