পূর্বভারতের সবচেয়ে বড় শিবলিঙ্গ-অক্ষয়বট-পাগলাখালি মন্দির, প্রকৃতি ও ইতিহাস মিলেমিশে রয়েছে মাজদিয়ায়
একই চত্বরের মধ্যে তিনটি মন্দির। একটি বুড়ো শিবমন্দির (রাজ রাজেশ্বর মন্দির), একটি রগ্নিশ্বর মন্দির এবং তৃতীয় রাম-সীতার মন্দির। মোট ১০৮টি মন্দির তৈরি করেছিলেন তিনি। কিন্তু, বর্তমানে এই তিনটিই অবশিষ্ট।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএছাড়া দেখা মিলবে পাগলাখালি মন্দির, যা পলদা নদীর পাশে অবস্থিত। সেখানেই রয়েছে ‘বালির চর’। আবার কৃষ্ণনগরের দিকে আরও এগিয়ে গেলে দেখতে পাওয়া যাবে ঘুর্ণি। কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পের খ্যাতি জগৎ-জোড়া। আর সেই শিল্পের পীঠস্থান হল এই ঘুর্ণি।
শিবনিবাস ছাড়াও এই অঞ্চলে রয়েছে একাধিক দ্রষ্টব্য স্থান। এই রুটেই মিলবে ‘অক্ষয়বট’। বলা যায়, শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনের গ্রেট ব্যানিয়ান ট্রি-র ছোট সংস্করণ।
দর্শনীয় স্থানের অভাব না থাকলেও, পর্যটনস্থল হিসেবে এই অঞ্চলে এখনও পর্যন্ত খুব একটা উন্নতি করেনি। এক বছর আগে পর্যন্তও এখানে পর্যটকদের থাকার জায়গা ছিল না।
যার মধ্যে অন্যতম সেরা আকর্ষণ হল ‘শিব নিবাস’। মাজদিয়া স্টেশন থেকে বেরিয়ে কৃষ্ণনগর যাওয়ার পথে মাঝে শাকচি মোড় দিয়ে ডানদিকে বাঁক নিয়ে পড়বে শিব নিবাস।
তেমনই একটি জায়গা হল মাজদিয়া। নদিয়া জেলার অন্তর্গত একটা জনপদ। পরিচিতির দিক দিয়ে অজানা নয়। তবে, ভীষণই যে জনপ্রিয় তাও বলা যাবে না। এই মাজদিয়াকে কেন্দ্র করে রয়েছে একাধিক দ্রষ্টব্য স্থান ও ঐতিহাসিক স্থান।
ঠিক একইভাবে, যেমন পরিচিতি লাভ করেছে অনেক নতুন অজানা জায়গা। একটা সময় হয়ত, কারও সেখানে পা পড়ত না। কিন্তু, সেই জায়গাগুলিই এখন সপ্তাহান্তে গমগম করে।
এখানেই চূর্ণি নদীর তীরে দেখা মিলবে পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় শিবলিঙ্গের। জনশ্রুতি, মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র তৈরি করেছিলেন এই শিব নিবাস।
তবে ব্যস্ততার এই জীবনে এখন অনেকেরই সুযোগ হয় না দূর-দূরান্তে গিয়ে ছুটি কাটানোর। বদলে, এখন অনেকেই বেছে নেন উইকএন্ড ডেস্টিনেশনকে। ফলত, কাছেপিঠের জায়গাগুলি এখন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ভ্রমণের প্রতি সকলেরই অল্পবিস্তর প্রেম রয়েছে। আর বাঙালির প্রেম তো মহাকাব্যিক। কথায় বলে বাঙালির না কি পায়ের তলায় সর্ষে রয়েছে। তাই সুযোগ পেলেই বাঙালি ব্যাগপত্র গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ে।
তবে, হালে মাজদিয়ার অনতিদূরে কৃষ্ণনগর যাওয়ার পথে আসাননগরে ঝোড় নদীর তীরে পর্যটকদের জন্য একটি ইকো হোম-স্টে গড়ে উঠেছে। নাম ‘প্রাকৃত’। প্রকৃতির মাঝে অবস্থিত এই ঠিকানায় ঘাঁটি গেড়ে পর্যটকরা এই দর্শনীয় স্থানগুলি অনায়াসে ঘুরে দেখতে পারেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -