নয়া দিল্লি: বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয় দিনে অক্ষয় তৃতীয়ার উৎসব পালিত হয়। অক্ষয় অর্থ- যার ক্ষয় হয় না। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, অক্ষয় তৃতীয়ার দিনটিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এবার অক্ষয় তৃতীয়া পালিত হবে ২২ এপ্রিল, শনিবার। এই দিন থেকে বদ্রীনাথের দরজা খুলে যায় এবং এই দিনেই বৃন্দাবনে ভগবান বাঁকে-বিহারীজির চরণ দেখা যায়। এই দিনে মূল্যবান জিনিস কেনা হয় এবং অনেক কিছু দান করা হয়।
বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে কোনও ব্যক্তি যদি কোনও ভাল কাজ করেন, এবং সেই সঙ্গে দান করলে, তিনি দ্বিগুণ পরিমাণে শুভ ফল পান। জ্যোতিষশাস্ত্রমতে বলা হয়, এই দিনের শুভ সময়ে পুজো করলে অর্থপ্রাপ্তি এবং ভাগ্যবদলের সম্ভাবনা রয়েছে।
অক্ষয় তৃতীয়া এবছর ২২ এপ্রিল, শনিবার।
অক্ষয় তৃতীয়ার পুজোর শুভ সময়- সকাল ০৭.৪৯ থেকে দুপুর ১২.২০ পর্যন্ত। পুজোর মোট সময়কাল থাকছে ৪ ঘণ্টা ৩১ মিনিট।
তৃতীয়ার সময় শেষ হচ্ছে- ২৩ এপ্রিল সকাল ০৭.৪৭ মিনিট
অক্ষয় তৃতীয়ায় সোনা কেনার শুভ সময় ২২ এপ্রিল ২০২৩ সকাল ০৭.৪৯ থেকে শুরু হয়ে ২৩ এপ্রিল সকাল ০৫.৪৮ পর্যন্ত থাকবে। সোনা কেনার মোট সময়কাল হবে ২১ ঘন্টা ৫৯ মিনিট।
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সকালে স্নান করে পবিত্র হয়ে হলুদ বস্ত্র পরিধান করুন। আপনার বাড়ির মন্দিরে গঙ্গা জল দিয়ে বিষ্ণুজিকে শুদ্ধ করুন এবং তুলসী, হলুদ ফুলের মালা বা হলুদ ফুল অর্পণ করুন। তারপর ধূপকাঠি জ্বালিয়ে, প্রদীপ জ্বালিয়ে হলুদ আশনে বসে, বিষ্ণুজী সম্পর্কিত পাঠ পাঠ করার পর, শেষে বিষ্ণুজীর আরতি পাঠ করুন। এর পাশাপাশি, বিষ্ণুজীর নামে গরীবদের খাওয়ানো বা দান করা অত্যন্ত পুণ্য এবং ফলদায়ক।
অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে শুভ কাজ করা যেতে পারে। এই দিনে গঙ্গা স্নানের অনেক গুরুত্বও বলা হয়েছে। যে ব্যক্তি এই দিনে গঙ্গা স্নান করেন, তিনি অবশ্যই সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হন। এই দিনে পিতৃ শ্রাদ্ধ করারও বিধান আছে। যব, গম, ছোলা, সত্তু, দই-চাল, দুধের তৈরি দ্রব্য ইত্যাদি তার পূর্বপুরুষের নামে ব্রাহ্মণকে দান করে খাওয়াতে হবে। এই দিনে যেকোনো তীর্থস্থানে আমাদের পূর্বপুরুষদের নামে শ্রাদ্ধ ও তর্পণ করা খুবই শুভ।
আরও পড়ুন, সূর্যগ্রহণের দিনেই শনির অশুভ দৃষ্টি, ৬ রাশির জীবনে দুর্ভোগের ছায়া
ডিসক্লেমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।