নয়া দিল্লি: শ্রীমদ ভাগবত গীতা (Bhagavad Gita) হিন্দুদের অন্যতম পবিত্র গ্রন্থ। অর্জুনকে জীবনের স্বরূপ বুঝিয়েছেন শ্রীকৃষ্ণ (Shree Krishna)। গীতার এই শিক্ষাগুলি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। মানুষকে জীবনযাপনের সঠিক পথ দেখায় এই শ্লোক। গীতার বাণী জীবনে গ্রহণ করলে উন্নতিসাধনও সম্ভব। শ্রীমদ্ভাগবত গীতায় কর্মের নীতি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। জেনে নেওয়া যাক সেই জিনিসগুলি কী যা শ্রী কৃষ্ণ প্রত্যেকের জন্য প্রয়োজনীয় বলেছেন।


শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন যে কোন কাজে সফলতা পেতে হলে মনের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকা খুবই জরুরী। কাজ করার সময় আপনার মনকে সবসময় শান্ত ও স্থিতিশীল রাখতে হবে। ক্রোধ বুদ্ধিকে নষ্ট করে এবং এর ফলে করা কাজ নষ্ট হয়ে যায়। তাই মনকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন।                                                                        


তৃতীয় অধ্যায়- কর্মযোগ


এবং বুদ্ধেঃ পরং বুদ্ধা সংস্তভ্যাত্মানমাত্মনা। 
জহি শত্রুং মহাবাহো কামরূপং দুরাসদম্।।৪৩।।


হে মহাবীর অর্জুন! নিজেকে জড় ইন্দ্রিয়, মন ও বুদ্ধির অতীত জেনে, নিশ্চয়াত্মিকা বুদ্ধির দ্বারা মনকে স্থির কর এবং এভাবেই চিৎ-শক্তির দ্বারা কামরূপ দুর্জয় শত্রুকে জয় কর।


চতুর্থ অধ্যায়- জ্ঞানযোগ


কর্মণ্যকর্ম যঃ পশ্যেদকর্মণি চ কর্ম যঃ।
স বুদ্ধিমানন্মনুষ্যেষু স যুক্তঃ কৃৎস্নকর্মকৃৎ।।১৮


যিনি কর্মে অকর্ম দর্শন করেন এবং অকর্মে কর্ম দর্শন করেন, তিনিই মানুষের মধ্যে বুদ্ধিমান। সব রকম কর্মে লিপ্ত থাকা সত্ত্বেও তিনি চিন্ময় স্তরে অধিষ্ঠিত।                               


নিরাশীর্যতচিত্তাত্মা ত্যক্তসর্বপরিগ্রহঃ।
শারীরং কেবলং কর্ম কুর্বন্নাপ্নোতি কিল্বিষম্।।২১


এই প্রকার জ্ঞানী ব্যক্তি তাঁর মন ও বুদ্ধিকে সর্বতোভাবে সংযত করে কার্য করেন। তিনি প্রভুত্ব করার প্রবৃত্তিপরিত্যাগ করে কেবল জীবন ধারণের জন্য কর্ম করেন। এভাবেই কর্ম করার ফলে কোন রকম পাপ তাঁকে স্পর্শ করতে পারে না।                                                     


 


আরও পড়ুন, তারকনাথকে জল নিবেদন করতে কেন নিমাই তীর্থ ঘাটেই ছুটে আসেন পুণ্যার্থীরা?