কলকাতা: বাঙালিদের ১২ মাসে ১৩ পার্ব্বণ। তবে ১২ মাসের যত ব্রত রয়েছে, তাঁর মধ্যে বিপত্তারিণী ব্রতকে বিশেষ মানা হয়। আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষে পঞ্চমী তিথিতে এই বিপত্তারিণী পুজো করা হয়। শনি ও মঙ্গলবারে এই ব্রত পালন করা হয়।
বিপত্তারিণী হল দেবী দূর্গার আর একরূপ, যিনি বিপদ সমূহ নাশ করেন তিনিই বিপত্তারিণী। অর্থাৎ যিনি দুর্গা তিনিই হলেন মা বিপত্তারিণী।
পুজোর নিয়ম-রীতি
ঘট, আমের পল্লব, শিষ সহ ডাব, তেরো রকমের ফুল, একটি নৈবেদ্য, তেরোটি অর্ধেক করে কাটা ফল,তেরোটি গোটা ফল, তেরো গাছি লাল সুতো, তেরোটি দূর্বা, তেরোটি পান, তেরোটি সুপুরির সহযোগে এই দেবীর পুজো করা হয়। গ্রামাঞ্চলে বিপত্তারিণী পুজো চারদিন ধরে করা হয়। প্রথম দিনে দেবীর আরাধনা করা হয়। পুজোয় মহিলাদের দণ্ডী কাটে দেখা যায়। তারপর দুই রাত্রী ধরে রাতে বাংলা লোকগান, ভজন ও কীর্তনের অনুষ্ঠান চলে। চতুর্থ দিনে দেবী বিপত্তারিণী বিসর্জন দেওয়া হয় নিয়ম মেনে।
কোন মন্ত্র পাঠ আবশ্যক?
মাসি পূন্যতমেবিপ্র মাধবে মাধবপ্রিয়ে। ন বম্যাং শুক্লপক্ষে চ বাসরে মঙ্গল শুভে। সর্পঝক্ষে চ মধ্যাহ্নে জানকী জনকালয়ে। আবির্ভূতা স্বয়ং দেবীযগেষু শোভনেষুচ। নমঃ সর্ব মঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থ সাধিকে শরণ্যে ত্রম্বকে গৌরী নারায়ণী নমস্তুতে।।
আরও পড়ুন, আসছে গুরু পূর্ণিমার শুভ যোগ, কোন সময়ে ঠাকুরকে পুজো দিলে পাপ কাটবে?
কী কী করবেন না?
পুজোর আগের দিন ও পুজোর দিন কখনও আমিষ খাবেন না। এমনকি চালের জিনিসও খাবেন না। এটি খাওয়া খুব অশুভ। এটি খেলে দেবী রেগে যান। দেখবেন আপনার পরিবারেও সেদিন কেউ আমিষ না খান।
এই সময় অবশ্যই সকালবেলা স্নান সেরে দেবীর পুজো করা উচিত। না হলে পরিবারের সুখ শান্তি বজায় থাকবে না। সেই সঙ্গে জীবনে নানান অশান্তি লেগে থাকবে।
ডিসক্লেমার : ধর্মীয় বিশ্বাস নিজস্ব। এ ব্যাপারে কোনও মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ ধর্ম সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে