কলকাতা : বাংলায় বৈশাখ মাস ধর্মীয় দিক থেকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। নানা উৎসব, অনুষ্ঠান, ব্রত , পার্বণে ভরা এ মাস। প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধ পূর্ণিমা উৎসব পালিত হয়। এই পূর্ণিমায় অনেকে উপবাস রাখেন। গঙ্গা স্নান করেন। এই পূর্ণিমায় দান ধ্যানেরও বিশেষ গুরুত্ব আছে। আবার একই ভাবে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনটির গুরুত্ববহ।
এ বছর বুদ্ধ পূর্ণিমা সামনেই। এ বছর হনুমান জয়ন্তী পড়েছিল বাংলার বৈশাখ মাসে। সেই হিসেবে বুদ্ধ পূর্ণিমা পড়বে জ্যৈষ্ঠ্যে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে এই দিনে এক ত্রহ্যস্পর্শ যোগ তৈরি হচ্ছে। এবার বুধবার, ২২ মে সন্ধ্যা ৬ টা ৪৭ মিনিট থেকে পূর্ণিমা লাগছে। তিথি থাকছে পরদিন ২৩ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। সন্ধে ৭ টা ২২ এ শেষ হবে। যেহেতু ২৩ মে-ই সূর্যোদয় পাওয়া যাচ্ছে, বুদ্ধ পূর্ণিমা ২৩ মে পালিত হবে।
বুদ্ধ পূর্ণিমার আগে জেনে নিন কেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছেই এই তিথি গুরুত্বপূর্ণ । বুদ্ধপূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এই পূর্ণিমায় ভগবান বুদ্ধের জীবনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল বলে বিশ্বাস। খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩ অব্দে সিদ্ধার্থ জন্মগ্রহণ করেন। ৫৮৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এই দিনেই তিনি সাধনায় সিদ্ধিলাভ করে মহাবোধি লাভ করেন। আবার ৫৪৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এ দিনেই তিনি মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। তাই এ দিনের গুরুত্ব বৌদ্ধদের কাছে অসীম।
বুদ্ধ পূর্ণিমায় কী কী করলে মন থেকে অশান্তি দূর হবে :
- বুদ্ধ পূর্ণিমায় সত্য, মানবতা এবং মুক্তির আরাধনা করা হয়। তাই বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপনের সময় খাঁচায় বন্দী পাখি ও প্রাণিদের মুক্ত করা উচিত।
- বোধিবৃক্ষে ফুল ও পতাকা লাগান এবং এর চারপাশে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখুন।
- গাছের শিকড়ে পবিত্র জল ঢালা, অন্তরের শান্তির জন্য প্রার্থনা করুন।]
- এই দিনে ধ্যান করলে মনে শান্তি আসে।
- গৌতম বুদ্ধের জীবনদর্শন সংক্রান্ত বই পড়ুন ও আত্মস্থ করুন
- বুদ্ধ মূর্তির সামনে ফুল ও মোমবাতি জ্বালিয়ে স্মরণ করুন।
- ঘরে পবিত্রতা বজায় রাখুন।
- দরিদ্রদের সাধ্যমতো দান করুন।
- সম্ভব হলে অহিংসতার প্রতীক হিসেবে, এই দিনে নিরামিষ খান।
ডিসক্লেমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।