কলকাতা : আচার্য চাণক্যের মতে, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক একই মুদ্রার দুই পিঠের মতো। একে অপরকে ছাড়া তাদের জীবন অসম্পূর্ণ থাকলেও, প্রায়ই ভুল বোঝাবুঝি বা ছোটখাট সমস্যার কারণে স্বামী-স্ত্রী ও ভালবাসার সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয়। প্রেম বা বৈবাহিক জীবনে, উভয়েরই একে অপরের সুখের যত্ন নেওয়া উচিত। জীবনে অনেক সময় স্বামী-স্ত্রীকে একে অপরের সুখের জন্য তাঁদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হয়। প্রেম এবং বিবাহিত জীবনের সাফল্য লুকিয়ে আছে এমন ছোটখাট ত্যাগের মধ্যেই।


কী কী সেই ত্যাগ-নীতি ?


অর্ধেক সত্য সম্পর্ককে বিষাক্ত করে তোলে। চাণক্যের মতে, আপনি যদি প্রেমের সম্পর্ক এবং বিবাহিত জীবনকে সুখী করে তুলতে চান, তাহলে আপনাকে আইনের মত হতে হবে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে, এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ যে উভয়ে একসঙ্গে চিন্তা করবে এবং একসঙ্গে সমস্যা বিবেচনা করবে। তবেই তার সমাধান হবে। প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সঙ্গীকে সমান মর্যাদা দেওয়া উচিত। তার কথা শুনুন এবং তারপর একসঙ্গে সমস্যার সমাধান করুন।


ভালবাসা এবং উৎসর্গ প্রতিটি সম্পর্কের ভিত্তি। উৎসর্গ মানে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির কতটা ভূমিকা রয়েছে। চাণক্য বলেন যে, ছোট ছোট ত্যাগ প্রেম জীবন এবং বৈবাহিক জীবনকে সফল করে তোলে। সম্পর্কের মধ্যে যারা আমি বা তুমিকে উপেক্ষা করে আমরার মধ্যে ঢুকে যেতে পারে তারা সম্পর্ক ভালভাবে পালন করতে সক্ষম হয়। এসব সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভোগান্তির কোনও জায়গা থাকে না। প্রেমের সম্পর্ক হোক বা বিবাহিত জীবন, আপনি যদি সত্যিই কাউকে ভালবাসেন তবে তার প্রতি সৎ থাকুন। কারণ, এটি সম্পর্ককে শক্তিশালী করে এবং সঙ্গী আপনাকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করবে।


বিশ্বাসই ভালবাসার ভিত্তি। যদি কোনও সম্পর্কের প্রতি আস্থা না থাকে, তবে তা বেশিদিন স্থায়ী হতে পারে না। যে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে নিজের মত করে বেঁচে থাকার স্বাধীনতা দেয়, তার সম্পর্ক সর্বদা সফল হয়। মনে রাখবেন, যে ব্যক্তি তার সঙ্গীর উপর তার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয় না সে প্রেমের সম্পর্কে সর্বদা সুখ থাকে। চাণক্য বলছেন, বাড়ি ও কাজের দায়িত্ব সমানভাবে ভাগাভাগি করে নিলে দম্পতির মধ্যে বিবাদের সম্ভাবনা কম হয়ে যায়। যে দম্পতি একে অপরের কাজ ভাগ করে নেয় তারা সবসময় সুখী থাকে।


আরও পড়ুন ; পৃথিবীর সব সমস্যার সমাধান হতে পারে এই দুই অভ্যাস গড়লে, কীসের উল্লেখ আছে গীতায় ?