নয়াদিল্লি : অযোধ্যায় রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার (Ayodhya Ram Lalla Pran Pratistha) অনুষ্ঠানে যোগ দেবে না সিপিআই। শুক্রবার একথা জানিয়ে দেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা। তাঁর মতে, এটি রাষ্ট্র-পরিচালিত একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠান যা ভোটের কারণে যৌথভাবে আয়োজন করেছে বিজেপি ও আরএসএস।


আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অনুষ্ঠান ঘিরে বিশাল আবেগ তৈরি হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। নজর কেড়েছে বিশ্বেরও। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য ডাক পেয়েছেন দেশ-বিদেশের বহু ভিভিআইপি অতিথি। যদিও এহেন অনুষ্ঠানে তাঁর দল যোগ দেবে না বলেন জানিয়ে দিলেন ডি রাজা। তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, "আমাদের দল প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যোগ দেবে না। এটি রাষ্ট্রপরিচালিত রাজনৈতিক অনুষ্ঠান। যা যৌথভাবে আয়োজন করেছে বিজেপি ও আরএসএস । যা গোটা বিশ্বের সব দেশ জানে। ভোটে লাভের জন্য যৌথভাবে এটাকে রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে পরিণত করেছে বিজেপি ও আরএসএস।"


তাঁর সংযোজন, "সংবিধানে এটা স্পষ্ট লেখা আছে যে ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র থাকতে হবে। সব ধর্মের প্রতি নিরপেক্ষ থাকতে হবে ভারত দেশকে। পরোক্ষভাবে, কোনও নির্দিষ্ট ধর্মকে কার্যত সরকারি ধর্মের মর্যাদা দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয়। কিন্তু এখানে, আমরা যা প্রত্যক্ষ করছি তা হল প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছেন এবং তাঁর সঙ্গে সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন আরএসএস-এর প্রধান।"


এদিকে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রাণ-প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের আগে চাহিদা বাড়ছে ভগবান রাম ও হনুমানের ছবি দেওয়া গেরুয়া পতাকার। ২২ জানুয়ারি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হবে অযোধ্যাকে। তাই আগেভাগেই রাম লালা দর্শনে আশ-পাশের জেলা থেকে আসছেন বহু ভক্ত। সঙ্গে সারছেন বিকিকিনিও। নানা পণ্যদ্রব্যের পাশাপাশি সেই তালিকাতেই থাকছে রাম-হনুমানের ছবি দেওয়া গেরুয়া পতাকা। আর দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই কার্যত ধর্মীয় আবেগে ভাসছে এই মন্দির-শহর। স্থানীয়দের কথায়, "অযোধ্যা রামময় হয়ে উঠছে।" 


স্থানীয় দোকানদাররা বলছেন, ভগবান রাম, আসন্ন রাম মন্দির, জয় শ্রী রাম লেখা স্লোগান ও হনুমানের ছবি দেওয়া গেরুয়া পতাকা প্রায় দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন চারচাকা গাড়িতেও। কাজেই এইসব পতাকার চাহিদাও বাড়ছে।