কলকাতা : গরুড় পুরাণ, হিন্দুদের (Hindu) কাছে একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। ১৮ টি মহাপুরাণের মধ্যে এটি একটি।  বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের এই ধর্মগ্রন্থ (religion) বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। এতে আছে ২৭১ টি অধ্যায়।  ১৮ হাজারটি শ্লোক রয়েছে এই ধর্মগ্রন্থে।  এক ব্যক্তির জন্ম থেকে মৃত্য পর্যন্ত বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মার্গদর্শন করায় এই পুরাণ। 


গরুড় পুরাণের (Garuda Purana) পাতায় স্বর্গ ও নরকের স্পষ্ট বর্ণনা পাওয়া যায়। এই পবিত্র গ্রন্থ পাঠে মনের কালিমা দূর হয় বলে বিশ্বাস। বিভিন্ন দ্বিধাগ্রস্ত পরিস্থিতিতে সঠিক পথ দেখায় এই পুরাণ।  ভক্তমনে বিশ্বাস, গরুড় পুরাণের নির্দেশ মেনে চললে মৃত্যুর পরে ভক্ত শ্রীহরি বিষ্ণুর চরণে স্থান পান। 


গরুড় পুরাণ কোনও ব্যক্তির প্রতিটি কাজের পরিণতি বর্ণনা কর। এখানে বলা আছে, যাঁরা পরোপকারী, তাঁরা পরকালে মোক্ষ লাভ করে। অন্যদিকে, যাঁরা মন্দ কাজ করে তাদের নরকে স্থান হয়।  পরকালে তাঁরা বিভিন্ন যন্ত্রণার শিকার হন। এই পুরাণে এমন কিছু কাজের উল্লেখ আছে, যা করলে নরকে স্থান হওয়া অনিবার্য। 



  • প্রথমত, গরুড় পুরাণ  ভ্রূণহত্যা, নবজাতককে হত্যা বা গর্ভবতী মহিলাকে মেরে ফেলা বা তার ক্ষতি করার চেষ্টার মতো  কাজের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে এই পুরাণে।  এই ধরনের জঘন্য কাজ করা একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পরে নরকে যাত্রা নিশ্চিত করে বলে মনে করা হয়। নরকে তাদের যন্ত্রণার শেষ থাকে না।

  •  যারা নারীদের অপমান করে তারা মহাপাপী। 

  • মহিলাদের হয়রানি করা বা তাদের প্রতি অন্যায় করলে পরকালে দুঃখের শেষ থাকে না এবং নরকে কঠোর শাস্তি পেতে হয়।

  • শাস্ত্র এমন ব্যক্তিদেরও নিন্দা করে, যারা বন্ধু বা মহিলাদের প্রতি খারাপ উক্তি করে থাকে। মহিলাদের প্রতি অসৎ আচরণ মহাপাপ।  মৃত্যুর পরে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।

  • তদুপরি, যারা মন্দির, ধর্মগ্রন্থ এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানকে উপহাস করে তারা ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হয়। তাদের জীবন দুর্ভাগ্যে ভরে যায়।  এমনকী পরকালে তারা বিভিন্ন কষ্ট সহ্য করে।

  •  যারা বয়স্ক, অসহায়, দুর্বল ও অভাবীদের উপর অত্যাচার করে থাকে ও দুর্ব্যবহার করে, তারা ঈশ্বরের রোষের শিকার হন।  


গরুড় পুরাণ একটি পথপ্রদর্শক গ্রন্থ। এর শিক্ষাগুলি মেনে চললে মানুষ ইহকাল ও পরকালে শান্তি পায় বলে বিশ্বাস।  


ডিসক্লেমার : (কোনও রাশির জাতক বা জাতিকার ভাগ্যে কী রয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনো মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ জ্যোতিষ সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রিত তথ্য প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)