হিন্দু ক্যালেন্ডার (Hindu calendar) অনুসারে, মঙ্গলবার হনুমানজিকে উৎসর্গ করা হয়। এই দিনে হনুমানজির পূজা, দান এবং হনুমানজিকে সন্তুষ্ট করার উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে হনুমানজি সন্তুষ্ট হন। এদিন হনুমান জিকে ছোলা নিবেদন করা হয়, সেই সঙ্গে সিঁদুর নিবেদনেরও রীতি আছে।
ভগবান শ্রী রামের মহান ভক্ত পরাক্রমশালী শ্রী হনুমান । তিনি ভক্ত বৎসল। সহজেই সাড়া দেন প্রার্তনায়। তিনি অত্যন্ত ভক্তবৎসল। মনে রাখতে হবে, হনুমানকে তাঁর প্রিয় খাবার, উত্তরীয় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিঁদুরও দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ভগবান শ্রী রামের নাম জপ করতে হবে।
প্রকৃতপক্ষে, যাদের ভক্তিবোধ আছে তাদের কোনও বিশেষ দিনের প্রয়োজন হয় না। প্রকৃত ভক্তরা প্রতিদিন ও প্রতি মুহূর্তে তাঁর আরাধ্য দেবতার প্রতি নিবেদিত থাকেন। তবে হনুমানজির পুজো করার হনুমান জয়ন্তী এবং মঙ্গলবার বিশেষ দিন। এদিন হনুমান জিকে ছোলা নিবেদন করতে হয় অতি অবশ্যই।
এছাড়াও, সপ্তাহে মঙ্গলবার এবং শনিবার, ভক্তরা হনুমান জিকে ছোলা নিবেদন করতে পারেন। এছাড়া বজরঙ্গবলীর মন্দিরে গিয়ে মঙ্গলবার এবং শনিবার সিঁদুর দেওয়া হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান হনুমানকে সিঁদুর অর্পণ করলে তিনি খুশি হন এবং ভক্তের সব বিপদ-আপদ দূর করেন। কিন্তু কেন সিঁদুর দিলে হনুমান খুশি হন? এর পিছনে রয়েছে বিশেষ গল্প।
রাম যখন লঙ্কা জয় করে অযোধ্যা ফিরে আসেন, তখন সীতা তাঁর মুক্তোর মালা হনুমানকে উপহার দেন। তিনি সীতার কাছে পুত্রের মতো প্রিয় ছিলেন। কিন্তু সেই মুক্তোগুলি হনুমান দাঁত দিয়ে ভেঙে ফেলেন। সীতা কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এতে কোথাও ভগবান রামচন্দ্রের নাম লেখা নেই। তাহলে আমার কী লাভ? উত্তরে সীতা মুগ্ধ হয়ে তাঁর
সিঁদুর দিয়ে বলেন, আমি এই সিঁদুর আমি ভগবান শ্রী রামের নামে লাগাই, এটা তুমি রাখো। তারপর হনুমানসীতার কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে সিঁদুর নিয়ে নিজের সারা শরীরে লাগিয়ে নেন। কারণ সেই সিঁদুরে রাম নাম লেখা আছে। এই ভাবনা থেকেই হনুমানকে সিঁদুর দিয়ে পুজো করা হয়। ভক্তের বিশ্বাস, হনুমানকে সিঁদুর দান করলে তিনি সেই সিঁদুর নিজের গায়ে মাখেন এবং ভক্তের সমস্ত ইচ্ছে পূরণ করেন।
ডিসক্লেমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।