হনুমানকে আরাধনার জন্য অনেকে মঙ্গলবার দিনটিকেই বেছে নেন। আবার কেউ শুধু হনুমানজয়ন্তীতেই আরাধনা করেন বজরঙ্গবলীর । তবে প্রতিদিন যদি নিয়ম করে হনুমানের আরাধনা করা যায়, তাহলে কোনও নেতিবাচক শক্ত ধারে-পাশে আসতে পারে না। মন হয় বজ্রকঠিন। সহজে দুর্বল হয় না। ভূত-প্রেত থেকে মৃত্যুভয়, সব থাকে দূরে। 



মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করতে হনুমান পুজো খুব জরুরি। ধুমধাম করে পুজো না করলেও অন্তত নিয়মিত হনুমান চালিসা পাঠ করা যায়। যদি কেউ সেই সঙ্গে সুন্দরকাণ্ড পাঠ করেন তাহলে ফল আরও ভাল। সেই সঙ্গে রাম-নাম জপ করলে হাজারো সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে বলে বিশ্বাস বজরঙ্গবলীর ভক্তদের।  হনুমান চালিশার শক্তি বোঝাতে তুলসীদাসের একটি গল্প প্রচলিত আছে। 


হনুমান চালিসা হল ৪০ টি শ্লোকের সমাহার।  ভগবান হনুমানকে উৎসর্গ করে এটি লিখেছিলেন তুলসীদাস। একবার সম্রাট আকবর তুলসীদাসকে  বলেন রামচন্দ্রে দর্শন করাতে। কারণ, রামচরিতমানসের রচয়িতা তুলসীদাস দাবি করেছিলেন, তিনি কোনও জাদু জানেন না। শ্রীরামচন্দ্রের কৃপায় অনেককিছু সম্ভব। তখন রামের দর্শন চান আকবর। কিন্তু তুলসীদাস বলেন, এভাবে তাঁর দর্শন পাওয়া যায় না। অন্তর থেকে ডাকলে তিনি পাশে দাঁড়ান। 


তা বিশ্বাস করতে পারেননি আকবর।  তিনি কবিকে কারাগারে বন্দি করেন। তারপর তুলসীদাস লিখতে শুরু করেন 'হনুমান চালিসা'। প্রচলিত গল্প অনুসারে, তুলসীদাস যেদিন চালিশার ৪০ তম শ্লোকটি লিখে ফেললেন, সেদিন বিরাট এক বানরবাহিনী  আকবরের প্রাসাদ ভাঙচুর করে, রীতিমতো তাণ্ডব চালায় সেখানে।  মুঘল সম্রাট তাঁর ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চান ও মুক্ত করেন তুলসীদাসকে। 


এ থেকেই বিশ্বাস, অন্তরের বিশ্বাস নিয়ে বজরঙ্গবলীর পুজো করলে তিনি সাড়া দেন ও সব বিপদ থেকে রক্ষা করেন।  মানুষের বিশ্বাস, বেশ কিছু কঠিন পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করতে পারেন হনুমান। যেমন - 



  • হনুমান চালিসা পাঠের উপকারিতা অসীম।  জীবনের হাজারো নেতিবাচকতা কেটে যায় হনুমান চালিশা পাঠে।

  • মানুষের বিশ্বাস শনির সাড়ে সাতির প্রভাব কমাতে সাহায্য করে চালিশা পাঠা এবং যারা শনিদেবের রোষ দৃষ্টিতে রয়েছেন, তাঁরা প্রতিদিন পাঠ করুন হনুমান চালিশা।

  • ব্যক্তি দুঃ স্বপ্নের ভয়ে রাতে ঘুমো যেতেই ভয় পাচ্ছেন, তারা ঘুমাতে যাওয়ার আগে হনুমান চালিসা পাঠ করতে পারেন।

  • অতীতের আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না ?  যদি কোনও ব্যক্তি তাদের অতীত অভিজ্ঞতার কথা ভুলতে না পারেন, তবে তাদের অবশ্যই হনুমান চালিসা পাঠ করুন। 

  • যারা মনে করেন যে তারা মন খারাপ কাটাতে পারছেন না, ভয় পাচ্ছেন, খারাপ চিন্তা মাথায় আসছেন  ভুগছেন,উদ্বেগের সমস্যা হচ্ছে তারা একবার হনুমান চালিশা পাঠ করে দেখুন। 


ডিসক্লেমার :  এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে bengali.abplive.com-এর সম্পাদকীয় স্তরে এ ব্যাপারে কোনও মতামত নেই এবং অনুসরণের জন্য এবিপি নেটওয়ার্ক পরামর্শও দেয় না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন 


আরও পড়ুন, শনির বক্রী যোগ, বড়ঠাকুরের আশীর্বাদে শূন্য থেকে পূর্ণ হবেন এই রাশির জাতকরা