হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় উৎসব হনুমান জয়ন্তী। চৈত্র মাসের পূর্ণিমাতে পালিত হয় এই উৎসব। হিন্দু মতে, এই দিনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন পবন পুত্র হনুমান। তাঁর জন্মতিথি পালন করার জন্য পালিত হয় হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Janmotsav 2024 Date)। প্রতি বছর চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে, অসীম শক্তিশালী হনুমানের জন্মদিন পালিত হয়। এই শুভ দিনে মা অঞ্জনীর গর্ভ থেকে হনুমানের জন্ম হয়েছিল। তিনি রুদ্রাবতার। তিনি অজেয়। ভক্তদের বিশ্বাস, তিনি অসীম ক্ষমতার অধিকারী। বজরঙ্গবলীকে অমর  বলে মনে করা হয় ধর্মীয় কথা অনুসারে। বিশ্বাস করা হয়, তিনি আছেন এই ধরা ধামেই। ভক্তদের মাঝে। তাঁর মৃত্যু নেই। 


ভক্তদের দৃঢ় বিশ্বাস, হনুমান এমন এক দেবতা যিনি অন্তরের ডাকে তৎক্ষণাৎ সাড়া দেন।  তিনি ভক্তদের প্রতিটি সঙ্কট থেকে রক্ষা করেন, তাই তাঁকে সঙ্কটমোচন বলা হয়। হনুমান জয়ন্তী এ বছর কবে, জানুন বিস্তারিত। 


কখন হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti 2024 Muhurat) : 



  • এই বছর ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার হনুমানে জন্মবার্ষিকী পালিত হবে। (Hanuman Jayanti 2024 Date)

  • মঙ্গলবার বা শনিবার হনুমান জয়ন্তী পড়লে এর গুরুত্ব বহুগুণ বেড়ে যায়। এই দুটি দিনই বজরঙ্গবলীকে উৎসর্গ করা হয়। এই দিনে হনুমানজিকে সাজিয়ে তোলা হয় বিশেষ ভূষণে। 

  • এদিন চালিশা, সুন্দরকাণ্ড পাঠ, ভজন, উপবাস, দান, আবৃত্তি ও কীর্তন করা আবশ্যক। 


উত্তর ভারতে  চৈত্র মাসে এই হনুমান জয়ন্তী পালন হয়। আবার দক্ষিণে  কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের তিথিতে হনুমান জয়ন্তী পালিত হয়। 


হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti Upay): 



  • পঞ্চাং অনুসারে, চৈত্র পূর্ণিমা তিথি ২৩ এপ্রিল।

  • রাত ৩.২৫ মিনিটে শুরু হবে তিথি

  • ২৪ এপ্রিলে ৫.১৮ মিনিটে তিথি সমাপ্তি।

  • হনুমান পূজার সময় সকাল ৯ টা ৩ থেকে ১ টা ৫৮ মিনিট। 

  • রাতে পুজোর সময় ৮.১৪ থেকে ৯.৩৫।


হনুমান জয়ন্তীতে, চিত্রা নক্ষত্র ২৩ তারিখ রাত ১০.৩২ মিনিট পর্যন্ত চলবে। এর পরেই শুরু হবে স্বাতী নক্ষত্র। হনুমান জয়ন্তীর দিন চন্দ্র থাকবে কন্যা রাশিতে এবং সূর্য থাকবে মেষ রাশিতে।


হনুমান জয়ন্তী পুজো বিধি (Hanuman Jayanti Puja vidhi)


হনুমান জয়ন্তীর দিন সকালে সূর্যোদয়ের আগে স্নান করুন। বজরঙ্গবলীর সামনে উপবাসের প্রতিজ্ঞা নিন। এই দিনে হলুদ বা লাল রঙের পোশাক পরা শুভ। হনুমান জয়ন্তীর দিন জুঁই তেলের সঙ্গে সিঁদুর মিশিয়ে বজরঙ্গবলীকে ছোলা নিবেদন করুন। জুঁই তেলের প্রদীপ জ্বালান । গোলাপ ফুলের মালা অর্পণ করুন। হনুমানজিকে একটি গোটা পান অর্পণ করুন। পুজোয় বজরঙ্গবলীর প্রিয় নৈবেদ্য গুড় এবং ছোলা দিন। বোঁদের লাড্ডুও দেওয়া যেতে পারে। এবার ৭ বার হনুমান চালিসা পাঠ করুন। এই দিনে বাড়িতে রামায়ণ পাঠ করা উত্তম।  আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী বস্ত্র, খাদ্য ও অর্থ অভাবগ্রস্তদের দান করুন।