Hanuman Jayanti 2024 : জীবনে মাঝে মাঝে এমন সংকট আসে যেখান থেকে বের হওয়া খুব কঠিন মনে হয়। এই পরিস্থিতিতে,সঙ্কট দূর করতে সাহায্য করেন রামভক্ত হনুমান। তাই মঙ্গলবারে হনুমানজির ( Hanuman Ji ) আরাধনার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেকে।  মনে করা হয়, হনুমানজি খুবই জাগ্রত দেবতা। তিনি এই পৃথিবীতেই থাকেন। তাই তাঁকে ডাকলেই পাওয়া যায়। ভক্তদের সমস্ত কষ্ট দূর করেন তিনি। এই কারণেই তাঁকে সঙ্কটমোচন বলা হয়। হনুমানের আরাধনা করলে সব কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বাড়িতে জীবনে এমন একেকটা সময় আসে যখন দেখা যায় কিছুতেই কাটছে না সমস্যা। একের পর এক ঝড় ঝাপটা আসতেই থাকে। যদি এমনটাই ঘটতে থাকে আপনার সঙ্গে তাহলে শরণ নিন বজরঙ্গবলীর।  বাড়িতে হনুমান জির একটি বিশেষ একটি  ছবি অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। অন্তত সমস্যার অভিঘাতটা কম হয়। 


জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, ঘরে হনুমানের পঞ্চমুখী ছবি রাখলে পরিবারের সকলের সমস্যা দূর হয়। বজরঙ্গবলীকে স্মরণ করলেই সকল প্রকার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অনেকেই মনে করেন, বাড়িতে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি রাখা ঠিক কি না। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এতে কোনও ভুল তো নেই-ই, বরং গৃহস্থের কল্যাণে ঘরে রাখা দরকার হনুমানের পঞ্চমুখী ছবি। 


হনুমানজির পঞ্চমুখী ছবির গুরুত্ব


বাড়িতে হনুমানের পঞ্চমুখী ছবি রাখলে ঘরের সমস্ত সমস্যা দূর হয় এবং নেতিবাচক শক্তি চলে যায়। পঞ্চমুখী হনুমানের পাঁচটি মুখের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। এতে ভগবানের সকল মুখ ভিন্ন ভিন্ন দিকে রয়েছে। পূর্ব দিকে ভগবান হনুমানের বানরের মুখ যা শত্রুদের উপর বিজয় প্রদান করে। পশ্চিম দিকে ঈশ্বরের গরুড় মুখ যা জীবনের বাধা এবং ঝামেলা দূর করে। 


উত্তর দিকে ভগবান হনুমানের বরাহা মুখ যা খ্যাতি এবং শক্তির কারণ হিসাবে বিবেচিত হয়। হনুমান জির সিংহ মুখ দক্ষিণ দিকে যা জীবন থেকে ভয় দূর করে। আকাশের দিকে ভগবানের একটি ঘোড়া মুখ রয়েছে যা ব্যক্তির ইচ্ছা পূরণ করে।


পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি বসানোর সঠিক দিক


পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি বসানোর সময় সঠিক দিকটি মাথায় রাখা খুবই জরুরি। বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারে পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি রাখা সবচেয়ে শুভ বলে মনে করা হয়। এই স্থানে ছবি রাখলে যে কোনও  ধরনের অশুভ শক্তি ঘরে প্রবেশ করতে পারে না। বাস্তু অনুসারে, বেশিরভাগ নেতিবাচক শক্তি দক্ষিণ দিক থেকে আসে। এই দিকে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি রাখলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আসে। বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি রাখলে সব ধরনের বাস্তু দোষ দূর হয়।


ভগবান হনুমান কেন পঞ্চমুখী অবতার নিলেন?


কিংবদন্তি বলে, যখন ভগবান রাম ও রাবণের মধ্যে যুদ্ধ চলছিল, তখন রাবণ তাঁর সৈন্যবাহিনীকে হেরে যেতে দেখে ভাই অহিরাবনের কাছে সাহায্য চাইলেন। অহিরাবণ ছিলেন মা ভবানীর একজন একনিষ্ঠ ভক্ত ও তন্ত্র বিদ্যায় অত্যন্ত পারদর্শী। অহিরাবণ মায়া করে রামের বাহিনীকে ঘুম পাড়িয়ে দেন এবং রাম-লক্ষ্মণকে অপহরণ করে পাতালে নিয়ে চলে যান।


অহিরাবণ ছিলেন মা ভবানীর পরম ভক্ত। তাই তিনি মা ভবানীর নামে পাঁচটি দিকে পাঁচটি প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন। অহিরাবণকে মারা এত সহজ ছিল না। শুধুমাত্র কেউ যদি এই পাঁচটি প্রদীপ এক সঙ্গে নিভিয়ে দিতে পারে, তবেই তাঁকে বধ করা যাবে।  তাই অহিরাবণকে পরাজিত করতে হনুমানকে পঞ্চমুখীরূপ ধারণ করতে হয়েছিল। হনুমানজি ৫ টি মুখে  একসঙ্গে পাঁচ দিকের প্রদীপ নিভিয়ে দেন এবং অহিরাবণকে হত্যা করে রাম-লক্ষ্মণকে তার কবল থেকে মুক্ত করেন। 


ঠিক তেমন ভাবেই পঞ্চমুখী হনুমান সব দিক থেকে আসা নেতিবাচক শক্তিকে পরাভূত করে ভক্তের সঙ্কটমোচন করেন বলেই বিশ্বাস। 


ডিসক্লেমার :  এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে bengali.abplive.com-এর সম্পাদকীয় স্তরে এ ব্যাপারে কোনও মতামত নেই এবং অনুসরণের জন্য এবিপি নেটওয়ার্ক পরামর্শও দেয় না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন।